spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রামগঞ্জে দৈনিক “আমার দেশ” না আসায় পাঠকদের হতাশা

মো. মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর বহুল প্রতীক্ষিত জনপ্রিয় পত্রিকা "দৈনিক আমার দেশ" প্রকাশিত হলেও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায়...
প্রচ্ছদজাতীয়বালির ড্রেজারে ভাঙনের মুখে মনিরঝিল-সোনাইছড়ি ব্রীজ, বিপন্ন ২০ হাজার মানুষের জীবন

বালির ড্রেজারে ভাঙনের মুখে মনিরঝিল-সোনাইছড়ি ব্রীজ, বিপন্ন ২০ হাজার মানুষের জীবন

আরফাত সিকদার কক্সবাজার স্টাফ রিপোর্টার” কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের মনিরঝিল-সোনাইছড়ি ব্রীজটি বর্তমানে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে রয়েছে। স্থানীয় জনগণের অভিযোগ অনুযায়ী, আওয়ামী লীগের স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বাকখালী নদী থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা আয় করছে। এই সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য হিসেবে উল্লেখ করা হচ্ছে ফতেখারকুল ইউনিয়নের মন্ডল পাড়া গ্রামের সুমন এবং মধ্যম মনিরঝিল গ্রামের শহিদুল ইসলাম (প্রকাশ শহিদুল্লাহ)।

দীর্ঘ সময় ধরে অবৈধভাবে বালি উত্তোলনের কারণে ব্রীজের চারপাশের মাটি ধসে গিয়ে বড় খালের সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে ব্রীজের সংলগ্ন রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা আশঙ্কা করছেন, যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেওয়া হয় তবে পুরো মনিরঝিল-সোনাইছড়ি এলাকার প্রায় ২০ হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় দ্বীপের মতো হয়ে যাবে।

স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হলেও কার্যকর পদক্ষেপের অভাব রয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে সাবেক সংসদ সদস্য, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং এলজিইডি প্রকৌশলী ব্রীজের অবস্থা পরিদর্শন করেন। তবে, পরিদর্শনের পরও অবৈধ ড্রেজারের কাজ বন্ধ হয়নি এবং পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। এলাকাবাসীর মতে, প্রশাসনের উপস্থিতির খবর পেয়ে বালি সরিয়ে সেখানে চারা রোপণ করা হয়, কিন্তু পরবর্তীতে পুনরায় বালি উত্তোলন শুরু হয়।

আরও পড়ুনঃ জয়পুরহাটে উলামা মাশায়েখ পরিষদ এর উদ্যোগে উলামা মাশায়েখ সম্মেলন

প্রভাবশালী গ্রুপটি দলীয় প্রভাব ব্যবহার করে স্থানীয় জনগণকে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং কোনো আইনি ব্যবস্থা নিলে তা মোকাবিলা করার হুমকি দেয়। এছাড়া, এই গ্রুপের বিরুদ্ধে পাহাড় কাটা, বন ধ্বংস, এবং স্থানীয় দরিদ্র পরিবারের জমি দখলের অভিযোগও রয়েছে।

স্থানীয় জনগণ মনে করেন, প্রশাসন যদি নিয়মিত নজরদারি চালায় এবং আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তবে এই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ করা সম্ভব হবে। তারা আশা করছেন, পরিবেশ আইনে মামলা করে এবং খাল, পাহাড়সহ বন ধ্বংসের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হলে এলাকাটি রক্ষা করা সম্ভব হবে।

এটি সময়ের দাবি যে, ব্রীজের ক্ষয়ক্ষতির জন্য জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হোক এবং অবৈধ ড্রেজিং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা হোক, যাতে স্থানীয় মানুষ নিরাপদে থাকতে পারে।