নিজস্ব প্রতিবেদক: নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিযোগ করেছেন যে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত থেকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে বিচারের মুখোমুখি করতে হলে ভারতকে অবশ্যই তাকে ফেরত দিতে হবে। অন্যথায়, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে পারে। ড. ইউনূস এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু-কে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে।
সাক্ষাৎকারে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির বিষয়ে তিনি বলেন, তারা এই ক্ষেত্রে অগ্রগতি করছেন, যদিও এখনও পূর্ণমান পায়নি। অর্থনীতির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আর্থিক অবস্থা অনেকটাই শক্তিশালী হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে আনার প্রচেষ্টা চলছে। তিনি উল্লেখ করেন, “উন্নত আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি অর্জনের ফলে বৈশ্বিক সমর্থন পাচ্ছি এবং বিনিয়োগের দ্বার উন্মোচন হচ্ছে।”
ড. ইউনূস আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছ থেকে বাংলাদেশের শক্তিশালী সমর্থন পাচ্ছেন। তিনি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট বাইডেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া, বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানোর জন্য একটি ওয়ান-স্টপ সার্ভিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার এখনও সাক্ষাৎ না হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখনও দেখা হয়নি, তবে আমরা প্রতিবেশী এবং আমাদের ইতিহাস ও সংস্কৃতি একত্রিত করেছে।” সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি “প্রোপাগান্ডা” এবং সংখ্যালঘুদের অধিকার সংবিধান দ্বারা নিশ্চিত।
আরও পড়ুনঃ বগুড়ায় ছেলের মৃ’ত্যুর খবর শুনে মা’রা গেলেন মা
তিনি সার্ককে পুনরুজ্জীবিত করার আহ্বান জানান এবং বলেন, “দক্ষিণ এশিয়ার জন্য সার্কের কার্যক্রম স্থগিত রাখা উচিত নয়।” ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যার জন্য সার্ককে বন্ধ করা উচিত নয় বলেও মত প্রকাশ করেন তিনি।
শেখ হাসিনার ভারত অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, “তাঁর ভারত অবস্থান আপাতত সমস্যা নয়, তবে বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলাটা সমস্যা। এটি রাজনৈতিক এবং তা বন্ধ হওয়া উচিত।”