সরকারের দুই উপদেষ্টা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, প্রো-হিন্দু ধর্মীয় সংগঠন ইস্কন নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সরকারের মধ্যে কোনো আলোচনা হয়নি। এর মাধ্যমে ইস্কন নিষিদ্ধ করার দাবিকে কার্যত প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
উপদেষ্টা সাঈদা রিজওয়ানা হাসান এক ব্রিফিংয়ে বলেন, “কোনো ব্যক্তির অপকর্মের দায় কোনো সংগঠন বহন করবে না। ইস্কন নিজেই জানিয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই।”
চিন্ময়কে কী অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানতে চাইলে উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানান, তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। তবে তদন্ত শেষ হলে বিস্তারিত জানানো সম্ভব হবে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাংলাদেশের জনগণের মূল্যবোধে ধর্মীয় সম্প্রীতি গভীরভাবে প্রোথিত। কোনো ষড়যন্ত্র বা উসকানি তা নষ্ট করতে পারবে না। তিনি জনগণকে এসব উসকানির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বিএনপি ও জামায়াত নেতারা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান জানান, তারা ন্যূনতম সংস্কার শেষ করে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছেন। একই সঙ্গে রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুনঃ ঋণ করেই ঋণের অর্থ পরিশোধ: বাড়ছে ঋণ শোধের চাপ
সরকারের পক্ষ থেকে ধ্বংসাত্মক কোনো কর্মসূচি না নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এই ধরনের আলোচনা ও পদক্ষেপ ধর্মীয় সম্প্রীতি রক্ষা এবং সামগ্রিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।