spot_img

― Advertisement ―

spot_img

মাদকবিরোধী সংবাদ প্রচারের জেরে সাংবাদিকের ওপর হামলা: চাঁপাইনবাবগঞ্জে প্রধান দুই আসামি গ্রেফতার

মাহিদুল ইসলাম ফরহাদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ চাঁপাইনবাবগঞ্জে মাদকবিরোধী সংবাদ প্রচারের জেরে এক সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত প্রধান দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী...
প্রচ্ছদজাতীয়জুলকারনাইন সায়ের এক ফেসবুক পোস্টে বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে দিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

জুলকারনাইন সায়ের এক ফেসবুক পোস্টে বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে দিয়েছে চাঞ্চল্যকর তথ্য

বিডিআর বিদ্রোহ নিয়ে নতুন তথ্য তুলে ধরেছেন আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান সামি। নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি দাবি করেছেন, বিদ্রোহের সময় ও পরবর্তী তদন্তের সঙ্গে জড়িত একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির ভূমিকা সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য রয়েছে, যা এখনো সাধারণ মানুষের কাছে অন্ধকারে রয়ে গেছে।

তিনি তার পোস্টে উল্লেখ করেন, বিডিআর বিদ্রোহের অন্যতম বিতর্কিত চরিত্র ছিলেন বিএ-২৬৮৩ ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিম আহমেদ, যিনি শেখ হেলালের আত্মীয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১১তম দীর্ঘমেয়াদি কোর্স থেকে পদাতিক কোরে কমিশনপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা সেনাবাহিনীতে মাঝারি মানের অফিসার হিসেবে বিবেচিত হতেন। তিনি ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হন এবং তার পদোন্নতি দীর্ঘদিন আটকে ছিল।

২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি বিডিআর বিদ্রোহের সময় র‍্যাব ফোর্সেস সদর দপ্তরের ডিরেক্টর ইন্টেলিজেন্স ছিলেন তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল (পরবর্তীতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল) মো. আব্দুল মজিদ। তিনি সেনাবাহিনীতে একজন দক্ষ ও চৌকস অফিসার হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিদ্রোহের সময় বিডিআর সদর দপ্তরের অফিসাররা তাদের সহকর্মী ও র‍্যাব কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে জীবনের নিরাপত্তার জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন।

ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, লেফটেন্যান্ট কর্নেল সামসুজ্জামান খান ১৫০ জন র‍্যাব সদস্য নিয়ে হাজারীবাগ গেটে উপস্থিত হয়েছিলেন, কিন্তু র‍্যাব সদর দপ্তরের তৎকালীন অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল রেজা নূরের আদেশ না থাকায় কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে পারেননি।

বিদ্রোহের পর বিডিআর সদর দপ্তরে তিনটি তদন্ত দল কাজ করে। এর মধ্যে র‍্যাবের বিশেষ তদন্ত দলটি লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। তদন্তে বেরিয়ে আসে, বিদ্রোহের আগে বিডিআর সদস্যরা তৎকালীন আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এবং বিদ্রোহের পেছনে রাজনৈতিক মদদ থাকার বিষয়টি স্পষ্ট হতে থাকে।

আরও পড়ুনঃ সাভার আশুলিয়ায় বন্ধ কারখানায় দুর্ধর্ষ ডাকাতি, আতঙ্কে স্থানীয়রা

জুলকারনাইন সায়ের খানের দাবি অনুযায়ী, তদন্ত দলের প্রতিবেদন ফাঁস হয়ে গেলে সরকার দ্রুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল আব্দুল মজিদকে র‍্যাব থেকে সরিয়ে সেনাবাহিনীতে ফেরত পাঠায় এবং তার স্থলাভিষিক্ত করা হয় মেজর আজিম আহমেদকে। তার প্রধান দায়িত্ব ছিল আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি রক্ষা করা এবং বিডিআর বিদ্রোহে জড়িতদের ইসলামপন্থী উগ্রবাদী হিসেবে চিহ্নিত করা।

এরপর ২০০৯ সালের পদোন্নতি বোর্ডে আজিম আহমেদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদে উন্নীত হন এবং দ্রুত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পর্যন্ত পদোন্নতি লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ দূতাবাসে কর্মরত থেকে তিনি সেনাবাহিনী থেকে স্বাভাবিক অবসরে যান।

ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়, বর্তমান সরকারের অন্তর্বর্তী কমিশনের উচিত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিম আহমেদকে তদন্তের আওতায় আনা এবং তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

এই প্রতিবেদন আল জাজিরার সাংবাদিকের পোস্টের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করতে স্বাধীন তদন্ত প্রয়োজন বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।