spot_img

― Advertisement ―

spot_img

‘টেস্ট অব লরেন্স’ উৎসবে মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ কানাডার টরন্টোয় আয়োজিত জনপ্রিয় ‘টেস্ট অব লরেন্স’ উৎসবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন ও কানাডার স্কারবরো সেন্টার থেকে...
প্রচ্ছদজাতীয়‘টেস্ট অব লরেন্স’ উৎসবে মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন

‘টেস্ট অব লরেন্স’ উৎসবে মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ কানাডার টরন্টোয় আয়োজিত জনপ্রিয় ‘টেস্ট অব লরেন্স’ উৎসবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন ও কানাডার স্কারবরো সেন্টার থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) সালমা জাহিদের মধ্যে এক সৌহার্দ্যপূর্ণ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (স্থানীয় সময়) উৎসবস্থলে সালমা জাহিদের বুথে এই আলাপচারিতা হয়, যেখানে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও অভিবাসী কমিউনিটির উন্নয়ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়।

২০১৫ সাল থেকে কানাডার হাউস অব কমন্সে স্কারবরো সেন্টার আসনের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন এমপি সালমা জাহিদ। নারী ও অভিবাসীদের অধিকার রক্ষায়, শিক্ষা ও কমিউনিটি উন্নয়নে তার অবদান আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তিনি বাংলাদেশ-কানাডা সংসদীয় ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

দুই দেশের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে এই ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এমপি সালমা জাহিদ এই গোষ্ঠীর মাধ্যমে বাংলাদেশি কমিউনিটির স্বার্থরক্ষা ও দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারে নিরলস কাজ করে চলেছেন।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ড. শাহাদাত হোসেন তার সফরে অভিবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং আন্তর্জাতিক শহর ব্যবস্থাপনা ও নাগরিকসেবার অভিজ্ঞতা বিনিময়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

‘টেস্ট অব লরেন্স’ উৎসবটিকে টরন্টোর স্কারবরো এলাকার বৃহত্তম স্ট্রিট ফেস্টিভ্যাল হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেখানে বিভিন্ন দেশের খাবার, পণ্যমেলা, সঙ্গীত ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠে এক বৈচিত্র্যময় মিলনমেলা। এটি কেবল উৎসব নয়, বরং বহুসাংস্কৃতিক সমাজে সম্প্রীতি ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার প্রতীক।

আরও পড়ুনঃ ১৬ জুলাইয়ের মধ্যে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজশাহী কলেজ ছাত্রদলের হুঁশিয়ারি

সাক্ষাতে দুই নেতা নারীর ক্ষমতায়ন, তরুণদের নেতৃত্ব গড়ে তোলা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন, অভিবাসী চ্যালেঞ্জ এবং স্থানীয় সরকারের আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিষয়েও সংক্ষিপ্ত আলাপ করেন। বিশেষভাবে, নারী নেতৃত্ব ও দুই দেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে একযোগে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেন তাঁরা।

আলোচনার শেষে তাঁরা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ-কানাডা সম্পর্ক এবং অভিবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির উন্নয়নে আরও নিবিড় বৈঠক ও কার্যকর পরিকল্পনার আশ্বাস দেন। এই সাক্ষাৎকে উভয়পক্ষই একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সূচনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।