spot_img

― Advertisement ―

spot_img

পবিপ্রবিতে রাতভর র‍্যাগিংয়ে হাসপাতালে ৩শিক্ষার্থী, বহিষ্কার  ৭

মোঃ সাইফুল ইসলাম, পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ র‍্যাগিংয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অবলম্বনের ঘোষণা দিলেও রাতভর র‍্যাগিংয়ে পটুয়াখালী বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (পবিপ্রবি) ৩ শিক্ষার্থীকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে...
প্রচ্ছদজাতীয়পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ব্লক

পবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ব্লক

মোঃ সাইফুল ইসলাম, পবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ সারাদেশে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাথে সংহতি জানিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এবার পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) শিক্ষার্থীদের বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ব্লক। এসময় শিক্ষার্থীরা বৈষম্যমূলক কোটা প্রথা বাতিল করে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে মেধাবীদের মূল্যায়ন করার দাবি জানান।

বুধবার (১০ জুলাই) বেলা ১০ টায় পবিপ্রবি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র থেকে ক্যাম্পাসের জয়বাংলা চত্বর হয়ে প্রথম গেইটে জড়ো হওয়া শুরু করে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবং পবিপ্রবি ক্যাম্পাস সাধারণ শিক্ষার্থীদের স্লোগানে মুখরিত হতে থাকে। পরবর্তীতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা পায়রা-লেবুখালী অবস্থান করে এবং ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ব্লক করে রাখেন। 

এসময় প্রায় এক শতাধিক শিক্ষার্থী আন্দোলনে অংশগ্রহণে করতে দেখা যায়। এসময় শিক্ষার্থীরা কোটার বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান ‘কোটা না মেধা? মেধা মেধা’, আপস না সংগ্রাম, সংগ্রাম সংগ্রাম’, ‘আঠারোর পরিপত্র, পুনর্বহাল করতে হবে’, ‘কোটাপ্রথা নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেরুদণ্ড সোজা কর, মেধা দিয়ে চাকরি ধর’,  ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটাপ্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’ ইত্যাদি স্লোগানে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক ব্লক করে রাখেন।

আন্দোলন চলাকালীন সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যানার ও প্লেকার্ড প্রদর্শনের মাধ্যমে আন্দোলনের পক্ষে তাদের অবস্থান জানান দেয়। খুবই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন সম্পন্ন হয় এবং কোটা সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

আরও পড়ুনঃ শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিয়ে যাওয়ার আহ্বান, আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্তঃ ওবায়দুল কাদের

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোনো বৈষম্যের ঠাঁই নাই। যেখানেই বৈষম্য হবে সেখানেই ছাত্রসমাজ আন্দোলন গড়ে তুলবে এবং ন্যায্য অধিকার আদায় করবে। আধুনিক বিশ্বের সাথে তালমিলিয়ে চলতে হলে দেশের যোগ্য স্থানে যোগ্যদের স্থান দিতে হবে। দেশের বিভিন্ন সরকারি চাকরিতে ৫৬% এর মতো কোটা থাকায় প্রকৃত মেধাবীরা যোগ্য স্থানে বসার সুযোগ পায় না। ফলে সেখানে অযোগ্যরা স্থান করে নেয়। কোটা  বর্তমান সময়ে চরম বৈষম্যের প্রতীক।

আরও বলেন, অযোগ্য কোটাধারীদের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বসিয়ে দেশের উন্নতি কখনোই সম্ভব নয়। মেধার মূল্যায়ন না হওয়ায় আজ দেশ মেধাশূন্য হচ্ছে। এবার স্থায়ী সমাধান চাই, বার বার এমন বাহানা ছাত্র সমাজ দেখতে চায় না। আমরা যেন বলতে পারি-“কোটার ঠিকানা, এই বাংলায় আর নাই”