মো: মাহিদুজ্জামান সিয়াম, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ‘আহলেহাদীছ সংগঠনের সাথে আওয়ামী রাজনীতি বিন্দুমাত্র সম্পর্ক বা আদর্শের সাথে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক আছে সেটার প্রশ্নই আসে না।’ এমন মন্তব্য করেছেন আহালেহাদীছ আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক ড. আহমাদ আব্দুল্লাহ ছাকিব।
আজ রবিবার (১১ আগস্ট) তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসটি হুবুহু তুলে ধরা হলো, ‘অনেকের ভুল ধারণা রয়েছে যে, আওয়ামী লীগের সাথে বোধহয় আহলেহাদীছদের বিশেষ সখ্যতা আছে। এই ধারণার কারণ মূলত জমঈয়তের উপদেষ্টাদের মধ্যকার কিছু আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ এবং আন্দোলনের কিছু প্রোগ্রামে আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ উপদেষ্টা সালমান এফ. রহমানের উপস্থিতি।
মূলত বাস্তবতা হলো, উপরোক্ত ব্যক্তিগণ কোন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল হিসাবে নন, বরং পারিবারিকভাবে আহলেহাদীছ আক্বীদা লালন করেন বলে আহলেহাদীছ সংগঠনের সাথে তাদের সম্পর্ক। যদিও এটা সত্য যে, নিঃসন্দেহে সরাসরি উপদেষ্টা হিসাবে এমন ব্যক্তিদেরকে কোন আদর্শিক সংগঠনে সম্পৃক্ত করাটা সমর্থনযোগ্য নয়, বরং বিপদজনক।
আর সালমান এফ. রহমান আহলেহাদীছ আন্দোলনের কোন উপদেষ্টা নন। কোন পৃষ্ঠপোষকও নন। তিনি ব্যক্তিগতভাবে ২০০৮ সালে জেলখানায় আহলেহাদীছ আন্দোলনে আমীর ড. মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের সান্নিধ্যে আসেন এবং দ্বীনের পথে প্রভাবিত হন। সেই সূত্রে তিনি আহলেহাদীছ আক্বীদাও গ্রহণ করেন। সেকারণে স্বাভাবিকভাবে তিনি আহলেহাদীছদের প্রতি দরদ রাখতেন এবং কোন প্রোগ্রামে প্রশাসনিক বাধা আসলে তিনি সেটা দূর করার চেষ্টা করতেন। বেশ কয়েকটি আহলেহাদীছ মসজিদকে তিনি ভাঙচুর করা থেকে রক্ষা করেছেন স্থানীয় প্রশাসনকে বলে। সুতরাং আওয়ামী আদর্শের নেতা হিসাবে নন, বরং একজন আহলেহাদীছ আক্বীদাগ্রহণকারী ব্যক্তিত্ব হিসাবে তিনি কখনও সংগঠনের জাতীয় প্রোগ্রামে উপস্থিত থাকতেন।
আরও পড়ুনঃ প্রেসক্লাব নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদ জানিয়েছে”বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য ”
অতএব আমরা অনুরোধ করব, কেউ এই ধারণা রাখবেন না যে, কোন আহলেহাদীছ সংগঠনের সাথে আওয়ামী রাজনীতি বা আদর্শের সাথে বিন্দুমাত্র সম্পর্ক আছে। বরং সেটার প্রশ্নই আসে না। আহলেহাদীছ সংগঠনের সাথে উক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্ক স্রেফ তারা আহলেহাদীছ পরিবারের হওয়ায় কিংবা আক্বীদাগত সূত্রে আহলেহাদীছ হওয়ার কারণে। আশাকরি এরপর বিষয়টি নিয়ে কেউ অনর্থক বিতর্কে লিপ্ত হবেন না। আল্লাহ আমাদের হেফাযত করুন। আমীন!’