
ঢাকা জেলা প্রতিনিধিঃ আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে আলোচনায় এসেছেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। শিক্ষিত, তরুণ ও উদ্যমী এই নেতা ইতিমধ্যেই তৃণমূল পর্যায়ে ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ শুরু করেছেন।
আশুলিয়া ও সাভারের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায় প্রতিদিন ছুটে বেড়াচ্ছেন ধানের শীষের পক্ষে ভোট চাইতে। একই সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন।
সাভার পৌরসভার গেন্ডা এলাকার সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম নেওয়া ব্যারিস্টার শিহাবের পরিবার সামাজিক ও পেশাগতভাবে সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের অধিকারী। তাঁর দাদা ডা. ছাদেক উদ্দিন খান ছিলেন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা এবং পরে সরকারি কৃষি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শেষে এলাকায় চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। তাঁর বাবা শাহাব উদ্দিন খান ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা।
জনসংযোগকালে ব্যারিস্টার শিহাব বলেন, “আমি সাভারের সন্তান, জনগণের সেবক হতে চাই। ধানের শীষ প্রতীকের বিজয় নিশ্চিত করতে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছি। দল মনোনয়ন দিলে এবং জনগণ সুযোগ দিলে সাভার-আশুলিয়ার দীর্ঘদিনের বঞ্চনা দূর করে উন্নয়নের কাজ করব।”
ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন। ‘চতুর্ভুজ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র’ এবং ‘বৈশাখী ফ্রেন্ডস সোসাইটি’র প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে শিশুদের মানসিক বিকাশে বিতর্ক, কবিতা পাঠ, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছেন। তুখোড় বিতার্কিক ও দক্ষ সংগঠক হিসেবে পরিচিত ব্যারিস্টার শিহাব বর্তমানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক নানা ফোরামে সক্রিয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। আইনজীবী হিসেবে জনস্বার্থে মামলা পরিচালনা করে সুনাম অর্জন করেছেন এবং নিয়মিত নীতি-আলোচনার টিভি টকশোতেও অংশ নিচ্ছেন।
শিক্ষাজীবনে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে পড়াশোনা করেছেন। সেখানে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন এবং ইংরেজি ছাত্র সংসদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্যও ছিলেন। পরবর্তীতে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে এলএলবি, ইউনিভার্সিটি অব দ্য ওয়েস্ট অব ইংল্যান্ড থেকে বার কোর্স এবং লন্ডনের ‘দি অনারেবল সোসাইটি অব লিংকনস ইন’ থেকে ‘বার-এট-ল’ ডিগ্রী অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গভার্নেন্স স্টাডিজে মাস্টার্স এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিগ্রীও অর্জন করেছেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নিয়মিত আইনজীবী এবং সুপ্রিম কোর্ট জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুনঃ খুলনায় স্টুডেন্ট স্কয়ার ফাউন্ডেশনের গ্রুপ কাউন্সেলিং সেশন অনুষ্ঠিত
রাজনৈতিক জীবনে তিনি বিগত সরকারের দমন-নিপীড়নের সময়ে বিএনপি ও ছাত্রদলের অসংখ্য নেতাকর্মীকে আইনগত সহায়তা দিয়েছেন। আন্দোলন-সংগ্রামে থেকেছেন অগ্রভাগে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৭ সালের সিনেট নির্বাচনে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আলোচনায় আসেন। সম্প্রতি জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও তাঁর সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য।
ব্যারিস্টার শিহাব বলেন, “ঢাকা-১৯ আসনের প্রতিটি মানুষের কাছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের সততা ও সেবার রাজনীতি পৌঁছে দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমার লক্ষ্য শুধু এমপি হওয়া নয়, বরং জনগণের প্রকৃত সেবক হওয়া। সাভার-আশুলিয়ার অবহেলিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং উন্নয়ন নিশ্চিতে কাজ করে যাওয়া আমার অঙ্গীকার। দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে একজন যোগ্য ও ক্লিন ইমেজের প্রার্থী হিসেবে তারেক রহমানের হাতকে শক্তিশালী করতে চাই। সেই লক্ষ্য অর্জনে সবার সমর্থন ও ভালোবাসা কামনা করছি।