মোঃ রফিকুল ইসলাম সেলিম, শেরপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ থানা সানন্দবাড়ী সাকিনে, মোঃ শফিকুল ইসলামের পুত্র মোঃ মিজানুর রহমান (২৪) গত ইং ১৮/১০/২০২৩ তারিখে শেরপুর জেলা সদরের চর সাপমারি গ্রামের নিবাসী মোহাম্মদ মানিক মিয়ার কন্যা সুমাইয়া জাহান বর্ষা ( ১৭)কে ফুসলাইয়া প্রেমের ফাঁদে ফেলে। তাহার অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য প্রতারক মিজানুর রহমান নাবালিকা কন্যা সুমাইয়া জাহান বর্ষা কে রেজিস্ট্রি কাবিন মূল্যে বিবাহ করেন, বিবাহের পর স্বামী স্ত্রী রূপে দৈহিক মিলনে বিবাহের পূর্ণতা প্রাপ্ত হন।
বিবাহের পর তাহারা স্বামী স্ত্রীর হিসাবে ঘর সংসার করিয়া আসিতে থাকা অবস্থায় নাবালিকা কন্যা ঘুমাইয়া যান বর্ষার দাম্পত্য জীবন সুখের জন্য। সুমাইয়া জাহান বর্ষার পিতা- মাতা, মিজানুর রহমানকে নগদ ৩০০০০০/-( তিন লক্ষ টাকা দেয়)। প্রতারক মিজানুর রহমান ৩০০০০০/- (তিন লক্ষ টাকা ) অন্যায় অবৈধভাবে খরচ করিয়া পুনরায় লোভের বশবর্তী হইয়া সুমাইয়া জাহান বর্ষার বরাবরে যৌতুক বাবদ টাকা দাবি করে।
যৌতুক বাবদ টাকা দিতে অস্বীকার করিলে প্রতারক মিজানুর রহমান তার স্ত্রী সুমাইয়া জাহান বর্ষাকে মারপিট জ্বালা যন্ত্রণা অমানুষিক নির্যাতন করিয়া তার বাড়ি হইতে এক কাপড়ে তাড়াইয়া দেয় এবং শ্রী সুমাইয়া জাহান বর্ষা কে গোপনীয় ভাবে তালাক প্রদান করে।
প্রতারক চক্রের মুলহোতা নারী ধর্ষক মিজানুর রহমান, স্ত্রী সুমাইয়া জাহান বর্ষা কে তালাক প্রদান করিয়া প্রতারণা মূলক ভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করার জন্য গত ৩০/০৭/২০২৪ তারিখ হইতে ১২/০৮/২০২৪তারিখ পর্যন্ত ধর্শক মিজানুর রহমান, সুমাইয়া জাহান বর্ষা কে তার পিতার বাড়িতে নিয়মিত ধর্ষণ করে।
আরও পড়ুনঃ জবিস্থ বগুড়া জেলা কল্যাণের নেতৃত্বে সৌরভ-মোছাদ্দির
সুমাইয়া জাহান বর্ষা তালাকের কথা জানতে পেরে ,শেরপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল আদালতে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধনী)২০০৩ আইনের ৯(১) ধারা মামলা করেন, বিজ্ঞ আদালত বাদীর জবান বন্দী গ্রহণ পূর্বক মামলাটি আমলে নিয়া তদন্তের জন্য শেরপুর ডিবি পুলিশ কর্মকর্তা বরাবরে আদেশ দেন ।জানা যায় যে ধর্শক মিজানুর রহমান একাধিক ধর্ষণ মামলার আসামী ইতিপূর্বে আরো কয়েকটি বিবাহ করিয়াছে ধর্শক মিজানুর রহমান কুমলমতি নারীদেরকে ফুসলাইয়া কৌশলে বিবাহ করিয়া টাকা হাতিয়ে নেয় লক্ষ লক্ষ টাকা।
ধর্শক মিজানুর রহমান এর বিরুদ্ধে একাধিক নারী নির্যাতন মামলা, টাকা আত্মসাৎ এর মামলা বিচারেরধীন। এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় যে ধর্শক মিজানুর রহমান পেশাগতভাবে একজন নারী ব্যবসায়ী , কুশলাইয়া প্রতারণামূলকভাবে টাকা হাতে নেওয়ার উদ্দেশ্যে বিবাহ করাই তার পেশা।
ভুক্তভোগী নারী সুমাইয়া জাহান বর্ষা ধর্শকের অত্যাচারে নিরাপত্তা হীনতা ভুগিতেছে । ধর্শক মিজানুর রহমান একাধিক মামলার আসামী। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন সংশোধনী ২০০৩ আইনের ৯(১)ধারা মামলা তদন্তধীন।