
মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর জিরো পয়েন্টের ফুটপাতে মোঃ মিঠুর চায়ের দোকানটি যেন একটি ছোট্ট গন্তব্য। এখানে আদা, লেবু, এবং কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন রকমের চা বিক্রি হয়, যা স্থানীয় মানুষের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়। কিন্তু মিঠুর গল্প শুধু একটি চা দোকান নিয়ে নয়; এটি একটি মানুষের অটুট সংকল্প এবং বন্ধুত্বের নিদর্শন।
মিঠুর জীবন কাহিনীটি একটি দুঃখজনক, কিন্তু শক্তিশালী উদাহরণ। তার বন্ধু হঠাৎ মৃত্যুর পর মিঠুর জীবনে একটি বড় পরিবর্তন আসে। বন্ধুর পরিবারের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থা অস্থির হয়ে পড়ে। বন্ধু হিসেবে, মিঠু সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি তাদের পাশে দাঁড়াবেন। সেই সময় থেকেই তিনি চায়ের ব্যবসা শুরু করেন।
রাজশাহী সাহেব বাজারের বড় মসজিদের পাশে মিঠুর দোকানটি একটি আড্ডার কেন্দ্র। বিকাল ৪টা থেকে রাত সাড়ে ১০ টা পর্যন্ত তিনি চা পরিবেশন করেন। তার দোকানে চা পান করতে আসা মানুষজনের মুখে হাসি দেখে মিঠু খুঁজে পান নতুন জীবনযাত্রার অর্থ। তার চা শুধুমাত্র পানীয় নয়; এটি মিঠুর বন্ধুর স্মৃতি এবং সেই বন্ধুত্বের একটি সেতু।
মিঠুর দোকানে ভিন্ন রকমের চা এবং বন্ধুদের গল্পের সমাহার স্থানীয় মানুষদের মধ্যে একটি অদ্ভুত টান সৃষ্টি করেছে। এখানে আসা গ্রাহকরা শুধু চা খেতে নয়, বরং তাদের দৈনন্দিন জীবন নিয়ে আলোচনা করতে এবং একে অপরের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে আসে।
মিঠুর দোকানের পরিসর ছোট, কিন্তু তার স্বপ্ন বড়। তিনি চান তার বন্ধুর পরিবারকে নিরাপদে ও সচ্ছলতার সাথে গড়ে তুলতে। চা বিক্রির মাধ্যমে তিনি তা করতে পারছেন—এটাই তার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।
আরও পড়ুনঃ ধুপখোলা মাঠ জগন্নাথের মালিকানাধীন নাঃ নতুন ডিসি
এভাবে, মিঠুর চা দোকানটি রাজশাহীর একটি বিশেষ স্থান হয়ে উঠেছে, যেখানে মানুষের হৃদয়ে বন্ধুত্ত্ব এবং সহানুভূতির গল্প বয়ে চলেছে। মিঠুর সংগ্রাম এবং সংকল্প সবার জন্য একটি অনুপ্রেরণা, যে কিভাবে একজন ব্যক্তি তার ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের জন্য লড়াই করতে পারে।
চা বিক্রেতা মোহাম্মদ মিঠু বলেন, আলামিন আমার খুব কাছের বন্ধু ছিল হঠাৎ করে একদিন সে মারা যায়। সে মারা যাওয়াতে তার পরিবার অসহায় হয়ে পড়েন। আমার বন্ধু এই চায়ের দোকানটি চালাতো। আমার বন্ধু মারা যাওয়াতে চায়ের দোকানটি বন্ধ হয়ে যায়। চায়ের দোকান চালানোর তাদের কেউ ছিল না। তখন আমি আমার বন্ধুর পরিবারে কথা চিন্তা করে এই চায়ের দোকানটা আমি বিভিন্ন রকম চা দিয়ে ব্যবসা শুরু করি মাশাল্লাহ এখন ভালো ব্যবসা হয় এবং আমার বন্ধুর পরিবার কেউ আমি সহযোগিতা করতে পারি।