মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকার থাকালিনে লাভের মুখ কখনোই দেখে নাই রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক। দেখবে কেমনে আওয়ামী লীগ সরকার যেখানে বসিয়ে রেখেছে বড় বড় রাঘববোয়াল। দীর্ঘ ১৭ বছর একটি লোন পাস করতে জনগণকে কয়জন কর্মকর্তার পকেট ভরতে হয়েছে সেটা শুধু লোন কারী ব্যক্তিই জানে।
দীর্ঘ ১৭ বছর লোন বেশিরভাগ অংশই পেয়েছে শুধু আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কর্মকর্তারায়। আওয়ামী লীগের লোক হলেও কমিশন ছাড়া জোটে নেই তাদের কপালে কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের লোন।
স্বৈরশাসক জালিম আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাকাবে অনেকে অন্যায়ভাবে অনেক সুবিধা নিয়েছে। গত ৫ আগষ্ট সরকার পতনের পরে ঐ সকল সুবিধাভোগী কিছু কর্মকর্তারা অন্য পথে আবারো সুযোগ সুবিধা গ্রহণের জন্য নতুন নাটক শুরু করেছে। কেউ চুপচাপ অফিস করছে, কেউ নিজের দোষ লুকিয়ে অন্য কর্মকর্তার দোষ মিডিয়াতে ছড়িয়ে দিচ্ছে , কেঁউ আবার রাতারাতি আওয়ামী লীগ সরকারের লোক থেকে জামাত ও বিএনপির সক্রিয় নেতা হিসেবে সবাইকে বুঝাতে শুরু করেছে। সে সময়েও তারা দালালি করে নিজের জায়গাটা ধরে রেখেছিল এখনো সেই দালালি করেই তারা নিজের জায়গাটা ধরে রাখতে চায়। নিজের জায়গা ধরে রাখতে নষ্ট করছে বিএনপি ও জামাতের নাম।
বাংলাদেশে সবকটি দপ্তরে সংস্কারের কাজ চললেও কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সংস্কারটি হয়ে গেছে টাকা ইনকামের নতুন পথ। ব্যাংক সংস্কারের নামে হাতে গুনে কয়েকটি ছোট কর্মচারী বদলি করেছে যাঁদের ঘুষ দেওয়ার কোনরকম পরিস্থিতি নাই তাই তাদেরই বদলির জালে পড়তে হয়েছে। বড় কর্মকর্তা গুলী টাকা দিয়ে থামিয়ে রেখেছে তাদের বদলি। যদিও কয়েকটি বড় কর্মকর্তা বদলি করেছে, এতে কি রাকাবের আসলেই সংস্কার হয়েছে? ব্যাংকের ডিজিএম, এজিএমসহ বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাগণ দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের আমলে রাজত্ব করেছে তাদের কোন ব্যবস্থা এখনও নেওয়া হয়নি।
তারা স্থানীয় বিএনপি নেতাদের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থাপনাকে ভয় দেখিয়ে বহাল রয়েছে এতে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে । বিশেষ করে ৯৮ এর ব্যাচের চারজন কর্মকর্তা মূল অধিনায়ক। কখন কার পা চাটা লাগবে সেটা তারা ভালো করেই জানে। এই ৪ এজিএম হলেন মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক, খাইরুল ইসলাম টিটু, তফিকুল আলম রেজা ও ইকবাল হোসেন।
৯৮ ব্যাচের চারজনের নেতৃত্ব দেন মো: মোস্তাফিজুর রহমান সরকার (মোস্তক), এজিএম বিভাগীয় নিরীক্ষা কার্যালয়। তিনি আওয়ামী লীগের আমলে রাকাবের ঊর্ধ্বতন ব্যস্থাপনা কর্তৃপক্ষের চামচামি করে এবং আওয়ামী লীগের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক করে দালালির মাধ্যমে সবসময় ভালো জায়গায় পোষ্টিং নিয়ে থেকেছে। ৫ই আগস্টের পর থেকে তিনি বড় বিএনপি সেজেছে যদিও খোঁজ নিয়ে তার বিএনপি’র কোন অঙ্গ সংগঠনের সাথে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তিনিও দিতে পারেন নাই কোন প্রমাণ।
তিনি লোন পাস করানোর দায়িত্বে না থাকলেও কমিশন নিয়ে সংশোধন দপ্তর গুলিতে ম্যানেজ করে লোন পাস করিয়েছেন। লোনপাশের কমিশনে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাকে সিকিউরিটি দেবে বলে এই চারজন বহিরাগত ব্যক্তিকে ব্যাংকের আশেপাশে নিয়মিত রেখে অফিস করছেন। আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বিভিন্ন নেতাদের লোন পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য তাদের কখনো সিকিউরিটির প্রয়োজন হয়নি তাদের ছত্রছায়ায় থেকেছেন । কিন্তু এখন সন্ত্রাসী ভাড়া করে অফিস করছেন তারা।
আরও পড়ুনঃ দুর্গাপুরে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
সংস্কারের নামে অন্যান্য কর্মকর্তাদের বদলির ভয় দেখিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে রেখেছেন এই চারজন। চারজনের মূল এখন বক্তব্য হচ্ছে কোনভাবে যেন বিএনপির দুর্নাম না হয় । কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের ও জনগণের উপকার , উন্নয়ন হয় কিনা হয় সেটা তাদের দেখার বিষয় নয় তারা চায় বিএনপির যেন ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়। এমন চামচামি করে টিকে রয়েছে তারা।
তাদের আরেক সহযোগী ফয়েজ আহমেদ, উর্ধতন কর্মকর্তা, রাকাব হুজরীপাড়া শাখা, রাজশাহী বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ব্যাংকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে এবং ব্যাংকের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। যদিও তিনি গণমাধ্যমের কাছে বলেন, আমি কোন রাজনীতির সাথে জড়িত না চাকরি করে নিজের জীবন চালায়। তার বিরুদ্ধে অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগগুলি অস্বীকার করে জানাই যদি আমি এমন কিছু করতে পারতাম তাহলে আমি প্রধান কার্যালয়ে থাকতাম।
রাকাব প্রধান কার্যালয়ে আরেক ডিজিএম রয়েছে মোঃ সারোয়ার হোসেন, ডিজিএম, কর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগ, রাকাব প্রধান কার্যালয়, তাঁর নামে বিভিন্ন বদলী বাণিজ্য, পদোন্নতি বাণিজ্য তাছাড়া তাঁর নামে নারী কেলেঙ্কারিরও অভিযোগ আছে । যিনি তার কর্মজীবনে কোন জায়গাতেই বেশি দিন টিকে থাকতে পারে নাই। লাইলী নামের নারীর সাথে কেলেঙ্কারির বিষয়টি সমস্ত অফিসের কর্মচারীরা জানলেও তিনি লাইলী নামের কাউকে চেনে না বলে অস্বীকার করে গণমাধ্যমের কাছে। রাকাবের আরোও দূর্নীতির অনুসন্ধান চলছে পরের পর্বে তাদের মুখোশ জনগণের সামনে খোলা হবে।