spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রামগঞ্জে দৈনিক “আমার দেশ” না আসায় পাঠকদের হতাশা

মো. মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর বহুল প্রতীক্ষিত জনপ্রিয় পত্রিকা "দৈনিক আমার দেশ" প্রকাশিত হলেও লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলায়...
প্রচ্ছদবিশেষ প্রতিবেদনকুয়াকাটায় কৃষি জমি ছেড়ে হোটেল নির্মাণের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে, বিপন্ন প্রাকৃতিক ভারসাম্য

কুয়াকাটায় কৃষি জমি ছেড়ে হোটেল নির্মাণের দিকে ঝুঁকছেন অনেকে, বিপন্ন প্রাকৃতিক ভারসাম্য

মোঃ তরিকুল মোল্লা, পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি: বাংলাদেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় দিন দিন বেড়েই চলেছে হোটেল ও রিসোর্টের সংখ্যা, আর সেই সাথে কৃষি জমি হারাচ্ছে তার পুরনো পরিচয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই কৃষিকাজ ছেড়ে দিয়ে হোটেল ও রিসোর্ট ব্যবসায় ঝুঁকছেন। কেউ নিজের জমিতে হোটেল গড়ে তুলছেন, আবার কেউ লিজে নিয়ে জমি ব্যবহার করছেন ব্যবসার জন্য।

কুয়াকাটার অমর্যাদিত সৈকত ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক পর্যটক কুয়াকাটায় ভিড় করেন। এই পর্যটকদের থাকার চাহিদা মেটাতে স্থানীয়রা আবাদি জমিতে হোটেল বা রিসোর্ট নির্মাণে উৎসাহী হয়ে উঠছেন। ফলে একসময় যেখানে ফসলের সবুজ আচ্ছাদন দেখা যেত, এখন সেখানে উঠে আসছে একের পর এক স্থাপনা।

পরিবেশবিদ ও কৃষকদের শঙ্কাঃ এই অবস্থার কারণে স্থানীয় কৃষক ও পরিবেশবিদরা বেশ উদ্বিগ্ন। কৃষকদের মতে, কৃষিজমি কমে যাওয়ায় এলাকার খাদ্য উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পাশাপাশি, এই পর্যটনমুখী স্থাপনাগুলি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো, যেমন সড়ক ও অন্যান্য সুবিধা, আরও বেশি জমি দখল করছে এবং এলাকার প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।

পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও পরিবেশ রক্ষার মধ্যে ভারসাম্য দরকারঃ বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ, তবে তা যেন পরিবেশের ওপর নেতিবাচক প্রভাব না ফেলে। টেকসই পর্যটনের মাধ্যমে কুয়াকাটার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ সংরক্ষণ করে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা জরুরি।

আরও পড়ুনঃ মানবজীবনের সংগ্রাম নিয়ে কবিতা “কলঙ্ক ভাঙবো তেজেই”

স্থানীয় বাসিন্দা রুবেল জানান, “বর্তমানে আমি কিছু কৃষিকাজ করি, তবে পাশাপাশি পর্যটকদের জন্য মাসিক ভাড়ায় বাসা দিয়েছি। এখন বাসা ভাড়ার আয়েই সংসার চলে যাচ্ছে, তাই অতিরিক্ত কাজ করতে হয় না। তবে আমি মনে করি, পর্যটনের বিকাশে আয়ের নতুন সুযোগ তৈরি হলেও, এটি স্থানীয় কৃষি ও জীবনধারার পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।

তবে পরিবেশ, কৃষি ও পর্যটন শিল্পের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে কুয়াকাটার এই পর্যটন কেন্দ্রটি দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।