মোঃ তরিকুল ইসলাম কলাপাড়া (উপজেলা) প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার খাপড়াভাঙ্গা গ্রামে এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে। সাইদুল খান নামের এক মাছচাষির পুকুরে ইলিশের দেখা মিলেছে জীবিত ইলিশ মাছ। সাধারণত সাগরের স্রোতযুক্ত নোনা পানিতে ইলিশের বাস হলেও বন্ধ পুকুরে এভাবে ইলিশ পাওয়া অত্যন্ত বিরল। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে।
কীভাবে ইলিশ পুকুরে? সাইদুলের ৭২ শতাংশ জমির পুকুরে তিনি তেলাপিয়া, রুই, কাতলসহ বিভিন্ন মাছ চাষ করেন। সম্প্রতি মাছ ধরার সময় জালে ধরা পড়ে সাতটি ইলিশ মাছ। প্রতিটির ওজন ছিল ২৫০ থেকে ৩০০ গ্রাম। সাইদুল মনে করেন, জোয়ার-ভাটার সময় নোনাপানির সঙ্গে প্রথমে খালে আসে পর্যায়ক্রমে স্রোতে ইলিশের রেনু পুকুরে ঢুকে থাকতে পারে এবং সেখানেই এগুলো বড় হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রহমান খান বলেন, “স্রোতবিহীন পানিতে ইলিশ কীভাবে বাঁচতে পারে, তা নিয়ে আমি ভীষণ অবাক। আমার ধারণা ছিল, এমনটা সম্ভব নয়। তবে এই ঘটনা ইলিশ চাষে নতুন সম্ভাবনার ইঙ্গিত দেয়।”
মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা জানান, “পুকুরে ইলিশ পাওয়া সত্যিই অদ্ভুত ঘটনা। ধারণা করা হচ্ছে, জোয়ারের নোনা পানির সঙ্গে রেনু এসে পুকুরে প্রবেশ করেছে। তবে প্রাকৃতিকভাবে ইলিশের টিকে থাকার জন্য স্রোত ও নির্দিষ্ট পরিবেশ প্রয়োজন। বাণিজ্যিকভাবে এটি সম্ভব হলেও লাভজনক হবে না, কারণ পুকুরে ইলিশের প্রাকৃতিক গতি ও স্বাদ ঠিক থাকে না।”
আরও পড়ুনঃ শ্রমিকদের প্রতি উৎপাদন অব্যাহত রাখার আহ্বান: অরবিন্দু বেপারী
স্রোতবিহীন পানিতে ইলিশ কিছু সময়ের জন্য বাঁচতে পারে। তবে এটি দীর্ঘমেয়াদি নয়। এ ধরনের ঘটনাগুলো ইলিশ চাষের নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারে, তবে এর জন্য প্রয়োজন গভীর গবেষণা।
সাইদুল খান মনে করেন, তাঁর অভিজ্ঞতা ইলিশ চাষে নতুন সম্ভাবনার পথ দেখাতে পারে। সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে তিনি ভবিষ্যতে ইলিশ চাষে সফল হতে পারেন বলে আশাবাদী।
এই ঘটনা শুধু কলাপাড়ার কুয়াকাটায় নয়, দেশের মাছচাষ খাতে একটি আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে।