spot_img

― Advertisement ―

spot_img

সাজিদের খুনিদের বের করতে না পারা ইন্টেরিমের ব্যর্থতা: ইবি ছাত্রশিবির সভাপতি

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান বলেছেন,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাজিদকে হত্যার ৯৩ দিন পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত খুনিদের...
প্রচ্ছদবিশেষ প্রতিবেদন‘রক্ত বালক’ রাজু: মানুষের পাশে দাঁড়ানোই যার জীবনের আনন্দ

‘রক্ত বালক’ রাজু: মানুষের পাশে দাঁড়ানোই যার জীবনের আনন্দ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ রবিউল ইসলাম রাজু—পেশায় ব্যবসায়ী হলেও হৃদয়ে একজন প্রকৃত মানবদরদী। মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার এই যুবক নানা সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবামূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে এলাকায় অনন্য এক মানবিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ব্যবসার ব্যস্ততা সত্ত্বেও দিনের যেকোনো সময় তিনি মানুষের সেবায় ছুটে যান, বিনিময়ে চেয়েছেন শুধু মানসিক প্রশান্তি।

রাজু এলাকার মানুষের কাছে শুধু একজন ব্যবসায়ী নন, বরং বিপদের সময় ভরসার আরেক নাম। বিশেষ করে কারও রক্তের প্রয়োজন হলে প্রথমেই তারা ছুটে যান এই ‘রক্ত বালক’-এর কাছে। এখন পর্যন্ত ১৫ জনকে স্বেচ্ছায় রক্ত দিয়েছেন তিনি, আর অসংখ্য জনকে রক্ত ম্যানেজ করেও দিয়েছেন নিরলসভাবে। রক্তদানকে তিনি ভালোবাসার এক নিঃস্বার্থ রূপ হিসেবে দেখেন, যাকে বলেন ‘লাল ভালোবাসা’।

মানবসেবায় রাজুর পরিধি এখানেই সীমাবদ্ধ নয়। তার এলাকায় ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে তিনি স্কুল, মাদরাসা ও মসজিদে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। চিকিৎসা বা পড়াশোনায় আর্থিক অসচ্ছলতায় যারা পিছিয়ে পড়েছেন, তাদের জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা নিয়ে এগিয়ে আসেন রাজু।

রাজুর বন্ধু ইমন হোসেন বলেন, “মানুষের বিপদে সে নিজেকে নিবেদিত করে দেয়। নিজের ব্যবসার ক্ষতি হলেও তা নিয়ে ভাবে না। অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোতেই তার আনন্দ।”

মানুষের জীবদ্দশায় নয়, মৃত্যুর পরেও রাজুর সেবা থেমে থাকে না। কেউ মারা গেলে তিনি কবর খননের মতো কাজও নিজ হাতে করে থাকেন, যা অনেকেই এড়িয়ে চলেন।

আরও পড়ুনঃ ভালুকায় ব্যাটারী কারখানায় অনিয়ম, ৭ লাখ টাকা জরিমানা ও সিলগালা

নিজের অনুভূতির কথা জানিয়ে রাজু বলেন, “রক্তদান এখন আমার অভ্যাস। এ কাজগুলো আমাকে মানসিক প্রশান্তি দেয়। আমি চাই, একজন মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পাশে থাকতে।”

রাজুর বিশ্বাস, সমাজের যুবকরাই পারে পরিবর্তনের কান্ডারি হতে। তার ভাষায়, “যুবকরা যদি সমস্যায় এগিয়ে আসে, তবে সমাজটা একদিন সত্যিই সুন্দর হয়ে উঠবে। এমন একটি সমাজ গড়তে চাই, যেখানে প্রতিটি মানুষ বাঁচতে চাইবে এই মাটিতে হাজারো বছর।”