
মো:জাহিদুল ইসলাম, গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ গাইবান্ধা সদর উপজেলার ১১ নং গিদারী ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের আনালের ছড়ায় শাহিন মিয়ার দোকানে খলিলুর রহমান নামে মানসিক ভারসাম্যহীন এক বৃদ্ধ লোকের সন্ধান পাওয়া যায়। দেখতে অনেকটা সাদাসিদে হলেও কথা বলতে পারেন না তিনি।
শুধুমাত্র খাতা কলমে লিখতে পারেন নাম, পিতা-মাতা কিংবা গ্রামের ঠিকানা। সকল দিক থেকে বিবেচনা করলে মনে হয় তিনি একজন স্বাভাবিক মানুষ। এমন বিষয়কে কেন্দ্র করে আনালেরছড়ায় শাহিন মিয়ার চায়ের দোকানে জমে উঠেছে হইচই।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় হঠাৎ করে লোকটি কোথা থেকে যেন শাহিন মিয়ার দোকানের সামনে উপস্থিত হয়।কিন্তু তার আচারন স্বাভাবিক বলে হলেও কথা বলতে পারেন না তিনি।শুধু খাওয়ালেই খায় তিনি।
সরেজমিনের শাহিন মিয়ার চায়ের দোকানে উপস্থিত হয়ে বৃদ্ধ লোকটির সঙ্গে দেখা হলে তার কাছ থেকে তার নাম – ঠিকানা জানতে চাওয়া হলে তিনি মুখ দিয়ে কিছু বলতে পারেন না। পরে কাগজ – কলম দেওয়া হলে তিনি তার পুরো ঠিকানা লিখে দেন।
আমার নাম মোঃ খলিলুর রহমান। পিতাঃতাজুল ইসলাম, গ্রামঃজিরাই। জেলাঃ গাইবান্ধা, থানাঃ গোবিন্দগঞ্জ।
তাইতো আনালেরছড়ার অনেকে জানান, লোকটিকে দেখতে অনেকটা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে মনে হয়। কোথা থেকে এসেছে তা অবশ্য তিনি বলতে পারছেন না।হঠাৎ করে শুধু ঠিকানা লিখে দেন গোবিন্দগঞ্জ। আসলে তার বাড়ি গাইবান্ধা জেলার গোবিন্দগঞ্জে কিনা আমরা তা সঠিক বলতে পারবনা।
আরও পড়ুনঃ বন্যার্তদের পাশে মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা, সংগ্রহ ৩লক্ষ টাকা
এ বিষয়ে শাহিন মিয়া জানান,তিনি আসলে মানসিক ভাবে ততটাও ভারসাম্য নন ।তিনি যেহেতু তার নাম কিংবা বাড়ির ঠিকানা সঠিক ভাবে খাতায় লিখে দিতে পেরেছেন।তাইতো আমি তাকে আমার চায়ের দোকানের সামনে নয়তোবা আমার বাড়িতে হেফাজতে রাখবো।এতে যদি কোন খোঁজ খবর হয় তাহলে আমি বৃদ্ধ লোকটিকে তার পরিবারের হাতে তুলে দেবো।
এমন মহানুভবতা দেখে মনে হয় মানুষ মানুষের জন্য এটাই বাস্তবতা। তাই প্রত্যেকের শাহিন মিয়ার মতো মন মানসিকতা হওয়া উচিত। এতে করে স্বজনরা ফিরে পাবে তাদের হারানো মানুষগুলকে