spot_img

― Advertisement ―

spot_img

মধুপুরে বাস-মাহিন্দ্র মুখোমুখি সংঘর্ষে ২ জনের মৃত্যু

বাবুল রানা, মধুপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের মধুপুরে বাস ও মাহিন্দ্রর মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ গেছে দুই বন্ধুর। নিহতরা হলেন মাহিন্দ্র চালক ফরহাদ ও তার বন্ধু...
প্রচ্ছদবিশেষ প্রতিবেদনহারুনের নির্যাতন-অত্যাচারের থাবায় জুয়েলারি ব্যবসায়ী বিল্লাল

হারুনের নির্যাতন-অত্যাচারের থাবায় জুয়েলারি ব্যবসায়ী বিল্লাল

মোঃ মিন্টু মিয়া, বিশেষ প্রতিনিধিঃ সাত বছর আগে গাজীপুরের তৎকালীন পুলিশ সুপার হারুনুর অর রশিদ এর ভয়াবহ নির্যাতনের শিকার হন জুয়েলারি ব্যবসায়ী বিল্লাল ব্যাপারী সেই কথা মনে পড়লে শরীর শিউরে ওঠেন তিনি।

তিনি দাবি করেন গাজীপুরে শ্রীপুরের স্থানীয় বিএনপি’র রাজনীতিতে যুক্ত থাকার জের ধরে অমানবিক ভাবে অত্যাচার ও নির্যাতন চালানো হয় তার ওপর।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন অনেক চেষ্টা করেও তিনি ঢাকা মহানগরের গোয়েন্দা পুলিশের ডিবি সাবেক প্রধান হারুনুর অর রশিদের নির্যাতনের কথা ভুলতে পারছেন না।

২০১৭ সালের ২৮ শে মে দুপুরে বিল্লালের চন্নাপাড়াই  নিজ বাড়িতে পিস্তল হাতে ঢুকে সাদা পোশাকের কয়েকজন কর্মকর্তা ডেরিক কুইয়ার নেতৃত্বে ডিবি সদস্যরা তল্লাশির নামে বাড়ি তছনছ করে এর প্রতিবাদ করলে স্ত্রী সন্তানদের সামনে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে এবং বলে তুই কি চিনিস গাজীপুরের বাপ এসপি হারুন অর রশিদ।

বিল্লাল বেপারী  আরো বলেন গাড়িতে তুলে নিয়ে মাওনা চৌরাস্তা পার হতে আমাকে চোখ বেঁধে ফেলে । পরে জিজ্ঞেস করতে আমি হেফাজতের সমাবেশে কত টাকা খরচ করেছি না বলা মাত্র ডান হাতের মাধ্যমে নক আঙ্গুল তুলে ফেলে এবং আঙ্গুল রক্তে ভেজা যায়। রড দিয়ে আঙ্গুল থেঁতলে দেওয়া হয় পরে আঙ্গুলে সুই ঢুকালে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি জ্ঞান ফেরার পর পায়ে রট  দিয়ে বেদম পেটায়। তখনো চোখ বাধা ছিল এমতাবস্থায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষ আবারও গাড়িতে তুলে দুই পায়ের পাতায় পেটায়। এবং পরে দুই হাতের আরও তিন আঙ্গুলের নখ তুলে ফেলে এভাবে ১৮ ঘন্টা নির্যাতন করে । এক পর্যায়ে  ৫ কোটি টাকা দাবি করে এবং এক স্বজনের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সুযোগ দেয় এ সময় তাদের শেখানো কথা বলি আমাকে বাচাও ৫ কোটি টাকার ব্যবস্থা কর।

পরে আমাকে গাজীপুর পুলিশ লাইন্স নিয়ে মসজিদের ইমামকে ঘুম থেকে তোলা হলো তওবা পরাতে বললেও আমার শরীর অপবিত্র দেখে তিনি রাজি হলেন না। সেখান থেকে গাড়িতে তুলে একটি বনে নিয়ে হাতকড়া পড়া অবস্থায় দৌড় দিতে বলে আমি তাদের বলি দৌড় দেব না দাঁড়িয়ে আছি এইভাবে আমার বুকে গুলি করেন এ সময় কল আসে ওই ডিবি কর্মকর্তার ফোনে। পরে তারা ফের গারীতে তুলে ছোটে পরদিন সকালে পরিবারের সদস্যরা ৫০ লাখ টাকা যোগাড় করে  ডিবি অফিসে এক কর্মকর্তাকে দেন এবং ছেড়ে দিতে চাইলে কয়েক মিনিট পর পুরনো জঙ্গি মামলা গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে মাধ্যমে দুই দিনের রিমান্ডে নেই।

আরও পড়ুনঃ সচিবালয়ে আনসারদের সঙ্গে সংঘর্ষে হাসনাত আব্দুল্লাহসহ ৩৫শিক্ষার্থী আহত

রিমান্ডে দ্বীপের আয়না ঘরে আমার সামনে আরেক ব্যক্তিকে বেদম মারধর করে দেখে আমি ভয় পেয়ে যাই এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে চাই তারা সুযোগ দিলে পরিবারকে বলি আমি বাঁচতে চাই আমাকে বাঁচাও যা সম্পত্তি আছে সব বিক্রি করে হলেও টাকা দাও ওই সময় রমজান মাস চলছিল। রোজা অবস্থায় নির্যাতনের পর আমাকে এসপি হারুনের সামনে হাজির করা হয় তার প্রথম প্রশ্ন ছিল হেফাজতের সমাবেশে কত টাকা ডেলেছি না সূচক জবাব দিলে ভয় দেখিয়ে তিনি বলেন আমার অফিসাররা যা বলে তাই কর। পরে স্বজনরা দুই দফায় ডিবিকে ৮০ লাখ টাকা দেয় রিমান্ডে অবশ্য কোন নির্যাতন করেনি পরে ৪১ দিন জেলে থাকার পরে উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হয়।