
মোঃ আব্দুল আউয়াল খান, কেন্দুয়া প্রতিনিধিঃ কৃষি অফিসের পাশেই ১৮০বস্তায় আদা চাষ কৃষি কর্মকর্তার। বলাচলে যেমন রুপে, তেমন গুনে। বলছিলাম লোকজ সংস্কৃতির রাজধানী কেন্দুয়া উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানার কথা। তিনি যেমন রুপে, তেমনি গুনে।
কেন্দুয়া উপজেলায় যোগদানের পরপরই তার বিস্তাড়িত একটি সাক্ষাৎকারে শারমিন সুলতানার মুল কথা ছিল তিনি মাঠে কৃষকদের কল্যানে কাজ করতেই বেশী ভালোবাসি।
তাঁকে সেদিন কেন্দুয়া উপজেলা প্রেসক্লারের পক্ষ থেকে বলেছিলাম, ধান,পাট,সরিষা,গম চাষের বাইরে অন্য কিছু চাষ করে সারাদেশে কেন্দুয়ার সাফল্য কৃড়িয়ে আনোন।
সেই আহবানে সাড়াদিয়ে অনেক কিছু চাষ করেছেন, তবে কৃষি অফিসের সামনেই ১৮০ বস্তায় আদা চাষ করে সমাজের সকল মহলের নজর কেড়েছেন। অবাক নয়,বাস্তব অর্থে একটি সুন্দর উদ্যোগ এই কর্মকর্তার।
প্রতিবস্তায় ৬০ গ্রাম আদা বীজ করে মোট ১১ কেজি বীজ রোপন করা হয়েছে।উপ- সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা মোঃ মাসুদ মিয়া জানান,প্রতি বস্তায় ১৫ কেজি করে জৈব সার ব্যবহার করা হয়েছে। বস্তা, বীজ, সার,নেট সহ সব মিলিয়ে ১০ থেকে ১১ হাজার টাকা খরচ হবে।
তবে এক বছর পর ১৮০ বস্তায় কম হলেও উৎপাদন হবে ১৮০ কেজি। যদি ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হয়,তবে ৩৬০০০ছয়ত্রিশ হাজর টাকা বিক্রি হবে। বস্তায় আর কোন ফসল চাষ করে উৎপাদন সম্ভব নয়।
আরও পড়ুনঃ বাঁচতে চায় অ্যাপ্লাস্টিক রোগে আক্রান্ত সাজিদ
অফিস প্রাঙ্গনে কেন চাষ জানতে চাইলে ৪ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকেলে খুব খুশি মনে হাসতে হাসতে কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শারমিন সুলতানা বলেন, আপনাদের সবার মনযোগ বাড়াতে,সবাই বাড়িতে বা যেকোন স্থানে বস্তায় আদা চাষ করতেই এ উদ্যোগ নিয়েছি।আশা করি ঐতিহ্যবাহী কেন্দুয়ার মানুষ বস্তায় আদা চাষকে হৃদয়ে ধারন করে সকলে চাষ করবেন।মিটাবেন আদার চাহিদা।
আমাদের কথা হলো,আসুন সবাই মিলে বস্তায় আদাচাষ করি, নিজের সংসারে সাফল্য নিয়ে আসি।