spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদখেলাধুলাফুটবলঅপেশাদারিত্বের চরম পর্যায়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল: পেশাদার কাঠামোর দাবি উঠছে জোরালোভাবে

অপেশাদারিত্বের চরম পর্যায়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল: পেশাদার কাঠামোর দাবি উঠছে জোরালোভাবে

স্পোর্টস ডেস্ক: বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের মাঠ ও মাঠের বাইরের চিত্র যেন এক শৃঙ্খলাহীন দুর্দশার প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছে। একের পর এক ঘটনার মধ্য দিয়ে ফুটবল হারাচ্ছে তার পেশাদারিত্ব, সংস্কৃতি ও নিরাপত্তা—যা দেশের ক্রীড়াঙ্গনের জন্য উদ্বেগজনক বার্তা বহন করছে।

সম্প্রতি প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও ফোর্টিস এফসির মধ্যকার ম্যাচে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি যেন অপেশাদারিত্বের সর্বোচ্চ উদাহরণ। ম্যাচ চলাকালীন এক দলের সমর্থক মাঠে প্রবেশ করে হুমকি ধামকি ও বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করলে ম্যাচের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা নিজেদের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন। সাধারণত খেলোয়াড়দের মধ্যে বিতর্ক বা উত্তেজনা দেখা গেলেও, মাঠে দর্শকের হস্তক্ষেপ এবং ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে অসদাচরণের মতো ঘটনা দেশের ফুটবল সংস্কৃতিকে কলঙ্কিত করেছে।

এই অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যেন লিগ কমিটির ঘুম ভাঙাতে পারছে না। আয়োজক ক্লাবের দায়িত্বহীনতা এবং বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির নিষ্ক্রিয়তা পরিস্থিতিকে আরও ভয়াবহ করে তুলছে। ম্যাচ শেষ হওয়ার পর খেলোয়াড়দের দ্বারা ম্যাচ কমিশনারের সঙ্গে অসদাচরণ এবং হাত তোলার মতো ঘটনা পেশাদার ফুটবল জগতের সঙ্গে কোনোভাবেই মানানসই নয়। বিশ্বের অন্য কোনো দেশে এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়দের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হতো।

দেশীয় ফুটবলে রাজনৈতিক প্রভাব ও স্বজনপ্রীতির বিষয়টি এখন গোপন কিছু নয়। বাফুফে ও লিগ কমিটির দায়িত্বশীল পদগুলোতে যোগ্যতা কিংবা পেশাগত অভিজ্ঞতার চেয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ক ও সুবিধাভোগী প্রবণতাই মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্বের ঘাটতি প্রকটভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে।

আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে হবে দেশের সবচেয়ে বড় ক্যান্সার হাসপাতাল : আমীর খসরু

দেশের ফুটবলের ভবিষ্যৎ রক্ষায় এখনই কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া জরুরি। মাঠে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে, নিরাপত্তা জোরদার করতে এবং খেলোয়াড়, ক্লাব ও কর্মকর্তাদের মধ্যে পেশাদার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। ফুটবলপ্রেমী নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে হলে, খেলাটিকে গড়ে তুলতে হবে একটি সুশৃঙ্খল ও পেশাদার কাঠামোর উপর ভিত্তি করে। অন্যথায়, দেশের ফুটবল আরও গভীর অন্ধকারে তলিয়ে যাবে—এমন সতর্কতা এখনই উচ্চারিত হওয়া প্রয়োজন।

এডি/ মুহাম্মদ কাইউম