
নাহিদ হাসান, বগুড়া প্রতিনিধিঃ উলুধ্বনি, শঙ্খ, ঘণ্টা আর ঢাক-ঢোলের বিদায় সুরে শেষ হলো বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। পুরাণমতে, বিজয়া দশমীর অন্যতম আয়োজন হলো দেবীবরণ। রীতি অনুযায়ী, সধবা নারীরা স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন দেবীর পায়ে সিঁদুর ছোঁয়ান এবং তারপর সেই সিঁদুর নিজের সিঁথিতে মেখে একে অপরের সিঁথি ও মুখে মাখেন। হাসিমুখে এবং সিঁদুর রাঙিয়ে দেবীকে বিদায় জানান তাঁরা। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নেচে-গেয়ে দেবী দুর্গাকে বিদায় জানায়।
রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে বগুড়ার মগলিশপুর সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকাল থেকেই মন্দিরে ছিল পুণ্যার্থীদের উপচে পড়া ভিড়। বিজয়া দশমীর পূজা শেষে উলুধ্বনি, শঙ্খ ও ঢাক-ঢোলের আওয়াজে মণ্ডপে মণ্ডপে ছিল দেবীর বিদায়ের সুর।
মন্দিরে আসা প্রিয়াঙ্কা রানি জানান, পাঁচ দিন ধরে নানা আয়োজনে পূজা উদযাপিত হয়েছে। সিঁদুর খেলা ও নাচ-গানের মধ্য দিয়ে দুর্গা মায়ের বিদায় জানানো হয়েছে। মাকে বিদায় জানাতে কিছুটা খারাপ লাগলেও আগামী বছর তিনি ফিরে আসবেন, এই আশায় পূর্ণ।
আরও পড়ুনঃ গাজীপুরে ফ্রি ভেটেরিনারি মেডিকেল ক্যাম্পেইন ও ভ্যাক্সিনেশন অনুষ্ঠিত
ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী, মহালয়ার দিন দেবী দুর্গা কন্যারূপে ধরায় আগমন করেন, আর দশমীর দিনে বিসর্জনের মাধ্যমে এক বছরের জন্য তাকে বিদায় জানানো হয়। এবার দেবী দুর্গার আগমন দোলায় বা পালকিতে হলেও, তার গমন হয়েছে ঘোড়ায় চড়ে।
বগুড়া জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, জেলায় ১২টি উপজেলায় ৬২৮টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এর মধ্যে পৌর শহরে ৭৩টি মণ্ডপে পূজা উদযাপিত হয়। এ বছর সারাদেশে ৩২ হাজার ৬৬৬টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে।