
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাদ্দাম হোসেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, “আমার সন্তানের জন্য যেটা পছন্দ , তোমাদের জন্যও তাই পছন্দ করবো। হলে সপ্তাহে অন্তত একদিন ওয়াশরুম পরিষ্কার করা হবে। প্রত্যেক ফ্লোরে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন ও ওয়াইফাই রাউটার দেওয়া হবে। হলের ডাইনিংয়ে খাবারের মান বাড়বে। প্রয়োজনে আমি তিন হলের বাটি নিয়ে বসবো। মান যাচাই করবো।”
শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকালে হলের টিভি রুমে
শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘এ সপ্তাহের মধ্যে ডাইনিংয়ে প্লেট, বাটি, জগ ও গ্লাস দিয়ে দিব। আর তোমাদের সব দাবির নিয়ে ভিসির সাথে বসবো। যেসব প্রস্তাবনা এসেছে আমরা সবগুলোর ব্যবস্থা নেব। এছাড়া হলের জন্য যেটা ভালো সেটাই আমি করবো। কারণ হলের যে টাকা থাকে এটা তোমাদেরই টাকা।’
শিক্ষার্থীরা হল প্রভোস্টের নিকট সংস্কারের বিভিন্ন দাবি উত্থাপন করেন। দাবির মধ্যে ডাইনিংয়ে খাবার মান বৃদ্ধি, প্লেট-গ্লাস-জগ পরিবর্তন, শৌচাগার ও গোসলখানা নিয়মিত পরিষ্কার করা, পানির ট্যাংকি পরিষ্কার করা, সুপেয় পানির ব্যবস্থা, সিসিটিভি বৃদ্ধি ও সচল করা, হলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, নামাজের কক্ষ, পড়াশোনা ও খেলার কক্ষ পরিবর্তন, মেধার ভিত্তিতে সিট বন্টন, পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন, ওয়াইফাই সমস্যা, বৈদ্যুতিক সমস্যা অন্যতম। এসময় শিক্ষার্থীদের দাবি প্রভোস্ট লিখে নেন এবং বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে ফুটন্ত কিশোর সংঘের উদ্যোগে লিগ্যাল এইড বিষয়ক উদ্বুদ্ধকরণ সভা
হলের আবাসিক শিক্ষার্থী লিমন বলেন, “আমাদের হল বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত। আমরা চাই প্রভোস্ট হিসেবে স্যার হল ভালোভাবে পরিদর্শন করে দেখবেন। দেখলেই সব সমস্যা বোঝা যাবে। একদিন আমাদের সঙ্গে ডাইনিংয়ে খাবেন। রুমে যাবেন। ওয়াশরুমগুলো ঘুরে দেখবেন। স্যারের কাছে যদি ব্যবহার উপযোগী মনে হয় আমাদের আর কোনো আপত্তি থাকবে না। হলে কোনো সমস্যার কথা হল অফিসে জানালে অফিস গুরুত্ব দেয় না। লিখিত দিতে বলে। লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোনো কার্যকরী পদক্ষেপ দেখি নাই। এর জন্য স্যারের বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া দরকার।”