spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আগামী ত্রয়োদশ নির্বাচনে ধানের শীষের টিকিটে লড়তে প্রস্তুত রাজশাহীর রমেশ দত্ত ও বিশ্বনাথ সরকার

পাভেল ইসলাম মিমুল, নিজস্ব প্রতিবেদক: আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজশাহীতে বিএনপির ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট ও সনাতনী...
প্রচ্ছদকলামভিন্নমতমানবজীবনের সংগ্রাম নিয়ে কবিতা “কলঙ্ক ভাঙবো তেজেই”

মানবজীবনের সংগ্রাম নিয়ে কবিতা “কলঙ্ক ভাঙবো তেজেই”

নিজস্ব প্রতিবেদক: মানুষের জীবনের সংগ্রাম নিয়ে কবিতা। সমাজের বাধা ও কলঙ্কের অন্ধকার কাটিয়ে নিজের আলো ছড়ানোর এক সাহসী বার্তা নিয়ে মোঃ তরিকুল মোল্লা সম্প্রতি রচনা করেছেন একটি কবিতা। কবিতাটির শিরোনাম “কলঙ্ক ভাঙবো তেজেই”, যা সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতা এবং আরোপিত কলঙ্ক মোকাবিলায় মানুষের আত্মবিশ্বাস ও সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি।

মোঃ তরিকুল মোল্লার জন্ম ২০০৭ সালে। এটি তার প্রথম কবিতা হলেও, কোনো স্থানে প্রকাশিত হয়নি। সাহসী শব্দচয়ন ও চিন্তার গভীরতা দিয়ে কবি প্রথম রচনাতেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। জীবনের প্রথম কবিতায় তিনি মানুষের সংগ্রাম, নিজের প্রতি আস্থা এবং নিজেকে আলোকিত করার বার্তা দিয়েছেন।

কবিতা:

কলঙ্ক ভাঙবো তেজেই
লেখক: মোঃ তরিকুল মোল্লা

মানুষ হয়ে যখন জন্মেছি, কলঙ্ক তো দেবেই সবাই,
শান্ত শীতল চাঁদ নই আমি, এ জীবন তেজে ভরপুর তাই।
বাঁধা যত আসুক পথে, থামবো না আর পিছিয়ে,
অন্ধকারের চাদর ফেলে, আলো জ্বালবো আগুনে।

সবার চোখে হয়তো কলঙ্ক, কিন্তু আমি তো নিজেই আলো,
আসবে যতই বাধা সামনে, ছিঁড়ে ফেলবো সব কিছুর জাল।
প্রতিটি দিন হোক সংগ্রাম, প্রতিটি রাত হোক আশা,
বিরুদ্ধ হাওয়ায় পা ফেলি, স্বপ্ন দিয়ে সাজাই ভালোবাসা।

শান্ত নয় আমি, নিরবতা আমার মাঝে নেই,
আগুন হয়ে জ্বলবো আমি, আঁধারেও দেখাবে পথ সেই।
আমার তেজে সমাজ যদি দ্বিধায় পড়ে যায়,
তাহলেও হার মানবো না, এই জীবন আমার মহাকাব্যগাথা।

আরও পড়ুনঃ বুটেক্সে শুরু হচ্ছে জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০২৪

মূলভাব: কবিতার মূল ভাবনা হলো মানুষের জীবন সংগ্রাম ও কলঙ্কের মধ্যেও নিজের তেজ এবং আলোকিত ব্যক্তিত্ব বজায় রাখা। সমাজ মানুষের ওপর বিভিন্নভাবে কলঙ্ক আরোপ করলেও, নিজ শক্তি ও আত্মবিশ্বাস দিয়ে সেই প্রতিবন্ধকতাগুলো অতিক্রম করার প্রেরণা পাওয়া। কবি তার কবিতায় বোঝাতে চেয়েছেন যে, সমাজ যতই বাধা সৃষ্টি করুক বা কলঙ্ক আরোপ করুক, নিজের শক্তি ও তেজ দিয়েই তা ভেঙে এগিয়ে যেতে হবে।

এই প্রথম কবিতাটি সমাজে প্রতিটি মানুষের জন্য এক অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।