spot_img

― Advertisement ―

spot_img

জবি ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণায় নিরাপত্তাহীনতায় শিক্ষার্থীরা, দুই সংগঠনের নিন্দা

ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ছাত্রদলের কেন্দ্রীয়...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসজবিতে তিন দিনব্যাপী ইরানি চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন 

জবিতে তিন দিনব্যাপী ইরানি চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধন 

ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) তিন দিনব্যাপী ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে এই চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগ এবং ফিল্ম ক্লাবের যৌথ আয়োজনে এবং ঢাকাস্থ ইরানের দূতাবাসের কালচারাল সেন্টারের সহযোগিতায় শুরু হওয়া এই চলচ্চিত্র উৎসবের চলবে ৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

তিন দিনব্যাপী এই উৎসবে প্রথম দিনে বডিগার্ড, দ্বিতীয় দিনে কালার অব প্যারাডাইজ ও দ্য সারভাইভার, এবং সমাপনী দিনে দ্য সং অব স্প্যারো, টেস্ট অব চেরি, ও চিলড্রেন অব হ্যাভেন প্রদর্শিত হবে। প্রতিটি প্রদর্শনী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হবে।

‘ইরান-বাংলাদেশ ফিল্ম কো-প্রোডাকশন: ব্রিজিং মার্কেটস অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোঃ রেজাউল করিম পিএইচডি বলেন, “ইরান ও বাংলাদেশের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে অনেক মিল রয়েছে। ইরানি চলচ্চিত্রের সরলতা, “নৈতিক শিক্ষা এবং মানবিক বার্তা আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস। চলচ্চিত্রের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের সমাজ, সংস্কৃতি ও মানবিকতার দিকগুলো সম্পর্কে জানা সম্ভব। এ ধরনের উৎসব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জ্ঞানচর্চার নতুন দ্বার উন্মোচন করবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন ইরানি দূতাবাসকে উৎসব আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “ইরানি চলচ্চিত্রে সমাজের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক শিক্ষনীয় বিষয়গুলো অত্যন্ত সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়। আমাদের শিক্ষার্থীরা এসব চলচ্চিত্র থেকে অনেক কিছু শিখতে পারে। ইরানি চলচ্চিত্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গি ও সৃজনশীলতা আরও সমৃদ্ধ হবে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত মানসুর চাভোশি বলেন, “ইরানি চলচ্চিত্র মানুষের জীবনের গল্প, ভবিষ্যৎ এবং মানবিক মূল্যবোধকে তুলে ধরে। এ ধরনের আয়োজন বাংলাদেশ ও ইরানের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।”

আরও পড়ুনঃ ১০বছরেও ক্ষতিপূরণ পায়নি বাস চাপায় নিহত শিক্ষার্থীর পরিবার; অধরা ইবির প্রতিশ্রুতি 

ইরানের কালচারাল সেন্টারের কাউন্সেলর সাইয়্যেদ রেজা মীর মোহাম্মদী তার বক্তব্যে বলেন, “চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী মাধ্যম যা বিভিন্ন দেশের সমাজ ও সংস্কৃতি বিষয়ক বার্তা সহজে পৌঁছে দিতে সক্ষম। ইরানি চলচ্চিত্র শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং শিক্ষার মাধ্যমও। এটি মানুষের জীবনযাত্রা, সংগ্রাম এবং মানবিকতা তুলে ধরার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।”

ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহ মো. নিসতার জাহান কবীর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত  এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।