মোঃ তরিকুল ইসলাম কলাপাড়া (উপজেলা) প্রতিনিধি: দেশব্যাপী বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা রাজনৈতিক মামলায় সাংবাদিকদের জড়ানো থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সাংবাদিক লেখক ঐক্য ফোরাম (বিজেডব্লিউইউএফ)। রবিবার সকালে সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রেরিত এক লিখিত বক্তব্যে এ আহ্বান জানানো হয়।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মো. রিয়াদুল ইসলাম জামাল লিখিত বক্তব্যে বলেন, “যেসব মামলায় রাজনৈতিক নেতাদের জড়ানো হয়েছে, সেসব মামলায় উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে সাংবাদিকদেরও আসামি করা হয়েছে। এতে অনেক সাংবাদিক এখন পেশা ও পরিবার ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। তাদের অনেকের জামিন মিলছে না। এমনকি তাদের বাড়ি-অফিসে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, এবং ক্যামেরা ও মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটেছে।”
তিনি আরও বলেন, “এসব হয়রানির কারণে অনেক সাংবাদিক পরিবার অনাহারে-অর্ধাহারে দিন পার করছে। তারা সামাজিক এবং অর্থনৈতিকভাবে চরম বিপর্যয়ের মুখোমুখি। রাজনৈতিক মামলায় নিরীহ সাংবাদিকদের জড়ানো সাংবাদিক সমাজের জন্য উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি করেছে।”
বক্তব্যে আরও উল্লেখ করা হয়, “জুলাই এবং আগস্টে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ বিভিন্ন ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাগুলোতে সাংবাদিকদের আসামি করা হয়েছে। অথচ এই সময় সাংবাদিকরা কেবল পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। তথ্য সংগ্রহ, ছবি এবং ভিডিও ধারণ করে তা প্রকাশ করা সাংবাদিকদের কাজ। অথচ তাদের বিরুদ্ধেই এখন স্পর্শকাতর মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, যা অযৌক্তিক এবং অগ্রহণযোগ্য।”
আরও পড়ুনঃ চট্টগ্রামে বিজয় মেলার উদ্বোধন, বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয়
বিজেডব্লিউইউএফ-এর নেতৃবৃন্দ লিখিত বক্তব্যে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান, “তদন্তে দোষী প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো সাংবাদিককে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা যাবে না। এ বিষয়ে সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা উচিত।”
তারা আরও বলেন, “মামলার শিকার সাংবাদিকদের যেন দ্রুত পেশায় ফিরতে দেওয়া হয় এবং তাদের পরিবার যেন হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এ বিষয়ে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।”
বিজেডব্লিউইউএফ-এর পক্ষ থেকে এও বলা হয়, সাংবাদিকদের স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের হয়রানি সাংবাদিকতার নীতিমালা ও স্বাধীনতাকে ব্যাহত করবে।