spot_img

― Advertisement ―

spot_img

গোপনে নারীদের ভিডিও ধারণ: মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রিজভী আটক

মোঃ তাহসীন আজাদ, বশেমুরমেবি প্রতিনিধিঃ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুজ্জামান নূর রিজভী গোপনে নারীদের ভিডিও ধারণের সময়...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসগোপনে নারীদের ভিডিও ধারণ: মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রিজভী আটক

গোপনে নারীদের ভিডিও ধারণ: মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী রিজভী আটক

মোঃ তাহসীন আজাদ, বশেমুরমেবি প্রতিনিধিঃ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড অফশোর ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশরাফুজ্জামান নূর রিজভী গোপনে নারীদের ভিডিও ধারণের সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছেন। গতবৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মেঘনা ভবনের দ্বিতীয় তলার ফিমেল ওয়াশরুমে এ ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী এক শিক্ষিকা জানান, ওয়াশরুমে থাকা অবস্থায় রিজভী মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভেন্টিলেটরের ফাঁক দিয়ে গোপনে তার ভিডিও ধারণ করছিল। বিষয়টি দেখে তিনি চিৎকার করলে রিজভী পালানোর চেষ্টা করে। তবে শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনগণের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়।

পরে তার মোবাইল তল্লাশি করে একাধিক অশ্লীল ভিডিও পাওয়া যায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, রিজভী নিয়মিত এ ধরনের কাজ করতেন এবং এর আগেও তিনি একই অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন।

ঘটনার পরপরই ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রিজভীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। তবে পুলিশ এ ঘটনায় এখনো মামলা গ্রহণ করেনি বলে জানা গেছে। শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নীরব ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ ইন পোর্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড লজিস্টিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী অন্বেষনা বণিক বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে আমরা নারী শিক্ষার্থীরা এখন চরম অনিরাপদ। প্রশাসনকে এর সঠিক বিচার করতে হবে এবং আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ রিজভীকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি অপরাধ স্বীকার করেন। তবে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা এই বিষয়ে তড়িৎ ও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

আরও পড়ুনঃ ডালিম ফল: পুষ্টি ও স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর একটি প্রাকৃতিক উপহার

জানা গেছে, রিজভী নারী সংক্রান্ত কেলেঙ্কারির জন্য এর আগেও সমালোচিত ছিলেন। তিনি জনপ্রিয় এডটেক প্রতিষ্ঠান ACS-এর একজন কর্মকর্তা, যা তার কর্মকাণ্ড নিয়ে আরও প্রশ্ন তুলেছে।

ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। শিক্ষার্থীরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি দাবি করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর শিক্ষার্থীদের আস্থা ফেরাতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রয়োজন।