spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হৃদয়গ্রাহী এক মিলনমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।ঈদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) থ্যালাসেমিয়া বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও স্ক্রিনিং ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে বায়োটেড ও আমেরিকান সোসাইটি ফর মাইক্রোবায়োলজি (ইবি শাখা) যৌথভাবে এ আয়োজন করে। ক্যাম্পেইনে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী তাদের রক্ত স্ক্রিনিং করিয়েছেন।

অনুষ্ঠানে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. একেএম নাজমুল হুদার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য দেন বায়োটেডের নির্বাহী পরিচালক ড. সওগাতুল ইসলাম।

ড. সওগাতুল ইসলাম থ্যালাসেমিয়া রোগের কারণ, প্রতিকার, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি বলেন, “থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্তের রোগ, যা শরীরে পর্যাপ্ত রক্ত উৎপাদনে বাধা সৃষ্টি করে। এই রোগ নিরাময়ের উপায় না থাকলেও সচেতনতার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। দেশের থ্যালাসেমিয়া রোগীদের গড় আয়ু মাত্র ৩০ বছর, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু পাঁচ বছরের মধ্যেই মারা যায়। এই রোগ প্রতিরোধের জন্য সবার আগে সচেতন হওয়া প্রয়োজন।”

আরও পড়ুনঃ নিরাপত্তা কক্ষ ভেঙে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ কর্মীকে ছাড়িয়ে নিল সহপাঠীরা 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন আয়োজন শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত ইতিবাচক। থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে গ্রামের মানুষের মাঝে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে। কারণ এই রোগ সম্পর্কে গ্রামীণ জনগণের অসচেতনতা বেশি। সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা থ্যালাসেমিয়া থেকে মুক্তি পেতে পারি।”

কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “থ্যালাসেমিয়ার মতো সমস্যাগুলো সমাধানে শুধু শহরে সীমাবদ্ধ থাকলেই হবে না, বরং গ্রামের প্রতিটি ঘরে এর সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে।”

এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি সমাজের অন্যান্যদেরও সচেতন করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।