spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারা বাংলারামগঞ্জ প্রবাসী সিটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, কোটি টাকার প্রতারণার শিকার বিনিয়োগকারীরা

রামগঞ্জ প্রবাসী সিটি প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ, কোটি টাকার প্রতারণার শিকার বিনিয়োগকারীরা

মোঃ মাসুদ রানা মনি, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিঃ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে প্রবাসীদের বিনিয়োগ করা কয়েক কোটি টাকা নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে রামগঞ্জ প্রবাসী সিটি নামের একটি আবাসন প্রকল্পের পাওয়ার অব অ্যাটর্নি গাজী ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা জানান, তিনি প্রকল্পের সদস্যদের কাছ থেকে প্রায় ৭ কোটি ১০ লাখ টাকা সংগ্রহ করে এর থেকে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি সন্ত্রাসী কায়দায় ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রতারিতদের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথ রুদ্ধ করছেন।

জানা গেছে, ২০১৪ সালে ৪০ জন প্রবাসী বাংলাদেশি একটি আবাসন প্রকল্পের উদ্যোগ নেন, যার লক্ষ্য ছিল সমান মালিকানায় বহুতল ভবন নির্মাণ। ২০১৬ সালে ২৬ জন সদস্যের নামে রামগঞ্জ উপজেলার নন্দনপুর গ্রামে ২৮ শতাংশ জমি কেনা হয় এবং আরও ১৪টি শেয়ার পাওয়ার অব অ্যাটর্নির মাধ্যমে গাজী ইসমাইল হোসেনের নামে হস্তান্তর করা হয়।

ভুক্তভোগীদের দাবি, বিদেশে থাকার সুযোগ নিয়ে গাজী ইসমাইল হোসেন প্রায় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন এবং কোনো হিসাব দিচ্ছেন না। অভিযোগ রয়েছে, তিনি নিজের নামে ঢাকায় জমি ও ফ্ল্যাট কিনেছেন। এছাড়া, তার সহযোগী নুরুল হুদা (মনা) অবৈধভাবে আরও ছয়টি শেয়ার নিজের নামে রেজিস্ট্রি করিয়ে নিয়েছেন।

ভুক্তভোগী জাকির হোসেন বলেন, “আমরা বিদেশে কষ্ট করে উপার্জন করা টাকা বিনিয়োগ করেছি, কিন্তু আমাদের সরলতার সুযোগ নিয়ে প্রতারণা করা হয়েছে। আমরা আমাদের প্রাপ্য টাকার হিসাব চাই।”

অন্য এক বিনিয়োগকারী জানান, “প্রকল্প এলাকা দেখতে গেলে অভিযুক্তরা সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের ভয়ভীতি দেখান এবং জোরপূর্বক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার চেষ্টা করেন।”

আরও পড়ুনঃ নালিতাবাড়ীতে ট্রাক্টরের চাপায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী নিহত, এলাকাবাসীর ক্ষোভ

এ বিষয়ে রামগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবুল বাশার বলেন, “আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং তদন্ত চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।”

এছাড়া প্রতারিত বিনিয়োগকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছেও লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন এবং দ্রুত সুবিচার চেয়েছেন।

অভিযুক্ত গাজী ইসমাইল হোসেনের বক্তব্য জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।