spot_img

― Advertisement ―

spot_img

কুবি রোটার‍্যাক্ট ক্লাবের নেতৃত্বে তানভীর – আল আমিন

কুবি প্রতিনিধি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) রোটার‍্যাক্ট ক্লাবের নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৫-২৬ মেয়াদের এই কমিটিতে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ফার্মেসি বিভাগের ২০২০-২১...
প্রচ্ছদসারা বাংলা"পরিষ্কার কুমিল্লা, সুস্থ কুমিল্লা"— গোমতি নদী রক্ষায় ভলান্টিয়ারস ফোরামের অভিযান

“পরিষ্কার কুমিল্লা, সুস্থ কুমিল্লা”— গোমতি নদী রক্ষায় ভলান্টিয়ারস ফোরামের অভিযান

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার গোমতি নদীর পরিবেশ সংরক্ষণ ও দূষণমুক্ত রাখতে ভলান্টিয়ারস ফোরামের একদল তরুণ স্বেচ্ছাসেবক “গো ক্লিন গোমতি” নামে পরিচ্ছন্নতা অভিযানের আয়োজন করেছে, যা নগরজুড়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গত সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে নগরীর কাপ্তান বাজার পাক্কার মাথা থেকে ২০০ মিটার সামনে গোমতি নদীর তীরে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাঠপেন্সিল, বাংলাদেশ ভলান্টিয়ারস ফোরাম, দুর্বার বাংলাদেশ, গোমতি টিম (কুমিল্লা সরকারি কলেজ), সবুজের শহর কুমিল্লা ও ওয়াইসিএসবিডি কুমিল্লা শাখার সদস্যরা।

সংগঠনগুলোর সদস্যরা জানান, গোমতি নদী কুমিল্লার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ হলেও বর্তমানে এটি মারাত্মক দূষণের শিকার। বিশেষত, রমজান মাসে ইফতার শেষে ফেলে দেওয়া প্লাস্টিক, খাবারের উচ্ছিষ্ট ও অন্যান্য আবর্জনা নদীর সৌন্দর্য নষ্ট করছে। দীর্ঘদিন আলোচনায় থাকলেও কার্যকর কোনো উদ্যোগ না থাকায় স্বেচ্ছাসেবকরা সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে এ অভিযানের আয়োজন করেছে।

বাংলাদেশ ভলান্টিয়ারস ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মো. আল আমিন শাওন মৈশান বলেন, “শহর ও নদী আমাদেরই সম্পদ, এগুলোর সৌন্দর্য রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তবে প্রতিরোধের চেয়ে প্রতিষেধক উত্তম। তাই পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি সচেতনতার ওপর জোর দিতে হবে। আমরা কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা চাই, যাতে এই উদ্যোগ আরও বিস্তৃত করা যায়। জেলা প্রশাসনের সদিচ্ছা থাকলে গোমতি নদীর সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা সম্ভব, রাজশাহী শহরই এর উদাহরণ।”

আরও পড়ুনঃ রাজশাহীতে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীদের ইফতার ও মিলনমেলা

আয়োজকদের মতে, এই উদ্যোগ শুধু এক দিনের জন্য নয়, বরং নিয়মিতভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হবে, যাতে গোমতি নদী ও আশপাশের পরিবেশ দূষণমুক্ত থাকে। কুমিল্লাবাসীকে আহ্বান জানানো হয়েছে, ইফতার শেষে প্লেট, বাক্স বা উচ্ছিষ্ট খাবার যেখানে-সেখানে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে এবং পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখতে সচেতন হতে।