spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারা বাংলাসাভারের বিরুলিয়া ব্রীজ ফুড কোর্ট মার্কেটে চাঁদাবাজি, ভাংচুর ও মারপিট: গ্রেফতার ১

সাভারের বিরুলিয়া ব্রীজ ফুড কোর্ট মার্কেটে চাঁদাবাজি, ভাংচুর ও মারপিট: গ্রেফতার ১

মহিউছ ছাইয়েদ, নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সাভারের বিরুলিয়া ব্রীজ ফুড কোর্ট মার্কেটে চাঁদাবাজি, ভাংচুর ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সাভার মডেল থানার এসআই আব্দুল ওহাব।

গত বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর মার্কেট ও দোকান মালিকরা যৌথবাহিনীর কাছে অভিযোগ জানালে যৌথবাহিনী ও সাভার মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পরে পুলিশ মোহাম্মদ বিল্লাল নামের একজনকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় মার্কেট মালিক মো. মামুন বাদী হয়ে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-০৭, তারিখ ৩ এপ্রিল ২০২৫।

অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন বিরুলিয়া ইউনিয়নের কাকাব এলাকার মৃত কফিলের ছেলে মোহাম্মদ মামুন, এনায়েত উল্লাহর ছেলে মো. বিল্লাল, আলি আশরাফ, জসীম উদ্দীন, দেলোয়ার হোসেন, মেহেদী, ইউসুফ মোল্লার ছেলে কাউসার মোল্লাসহ আরও ২৫ থেকে ৩০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মার্কেটের ৬০টি দোকানে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা হিসেবে ৬০ লাখ টাকা না দেওয়ায় তারা রেস্টুরেন্টের খাবার ফেলে দেয়, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করে এবং জোরপূর্বক দোকান বন্ধ করে দেয়। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয় বলে এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

মার্কেট মালিক মো. মামুন জানান, বিরুলিয়া ব্রীজ ফুড কোর্ট মার্কেটটি তারা পাঁচজন মিলে গড়ে তুলেছেন। সম্প্রতি বিরুলিয়ার বিল্লাল ও মোহাম্মদ মামুনের ইন্ধনে তাদের লোকজন মার্কেটে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিল। ঘটনার দিন মামুন তাকে ফোন করে মার্কেটে থাকতে বলে। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ব্যক্তিগত কাজে চলে গেলে তিনি জানতে পারেন, মোহাম্মদ মামুন ও বিল্লাল ২৫ থেকে ৩০ জন লোক নিয়ে দোকানগুলোতে চাঁদা দাবি করে এবং না পেয়ে ভাংচুর চালিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়। এতে প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, “বিল্লাল বর্তমানে যুবদল করে। আর মামুন আগে যুবলীগ করতো, এখন নাগরিক কমিটির পরিচয় দেয়। সাভার নাগরিক কমিটির নাইম ভাই জানিয়েছেন, মামুন তাদের কমিটির কেউ নয়। আমি চাই, এই ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হোক, যাতে গরিব দোকানিরা শান্তিতে ব্যবসা করতে পারে।”

আরও পড়ুনঃ জিয়ার শ্রদ্ধা স্মারক সরিয়ে ফেলার অপকর্মে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জাসাসের

রেস্টুরেন্ট মালিক ও কর্মচারীরা জানান, ওই রাতে ২০ থেকে ৩০ জন লোক তাদের দোকানে এসে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে রাজি না হলে তারা দোকান বন্ধ করতে বলে। একপর্যায়ে রেস্টুরেন্টের খাবার ও অন্যান্য জিনিসপত্র ফেলে দেয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকান বন্ধ করে দেয়।

বিরুলিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহীন মেম্বার জানান, ঘটনার এক ঘণ্টা পর তিনি সেখানে গিয়ে দুই পক্ষকে মীমাংসার চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কথা কাটাকাটির কারণে সমঝোতা সম্ভব হয়নি। তিনি বলেন, “বিল্লাল বিএনপি করে, তার বাবা আওয়ামী লীগ করতেন। অন্যদিকে মামুন আগে আওয়ামী লীগ করতো। তারা একসঙ্গে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”

সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জুয়েল মিয়া বলেন, “এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”