spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবি ছাত্রশিবিরের মধ্যাহ্নভোজ অনুষ্ঠানে অর্ধশতাধিক ইবিয়ানের মিলনমেলা

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) হৃদয়গ্রাহী এক মিলনমেলার আয়োজন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা।ঈদের...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসইবিতে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’র প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

ইবিতে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’র প্রতি সংহতি জানিয়ে বিক্ষোভ ও সমাবেশ

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণের মুক্তিসংগ্রামের প্রতি সংহতি জানিয়ে ‘গ্লোবাল স্ট্রাইক ফর গাজা’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (৭ এপ্রিল) বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিল শুরু হয়ে ক্যাম্পাসসংলগ্ন শেখপাড়া বাজার ঘুরে আবারও প্রধান ফটকে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে মিলিত হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শত শত শিক্ষার্থীর সঙ্গে স্থানীয় এলাকাবাসীরাও যোগ দিলে বিক্ষোভটি ব্যাপক গণসমাবেশে রূপ নেয়। প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ এতে অংশ নেন। অংশগ্রহণকারীরা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’, ‘ফিলিস্তিনে হামলা কেন? জাতিসংঘ জবাব দে’, ‘বিশ্বের মুসলিম এক হও, লড়াই করো’, ‘বয়কট বয়কট, ইসরায়েল বয়কট’, ‘ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন, স্টপ জেনোসাইড’ সহ বিভিন্ন প্রতিবাদী স্লোগানে রাজপথ মুখর করে তোলে।

বিক্ষোভ শেষে সমাবেশে ছাত্রশিবির ইবি শাখার সেক্রেটারী ইউসুফ আলী বলেন, “গত রমজান থেকে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে। যেমনটি রাসুল (সা.)-এর সময় কাফের সম্প্রদায় হুদায়বিয়ার চুক্তি ভঙ্গ করেছিল। যারা চুক্তি ভঙ্গ করেছিল তারা পৃথিবীর বুক থেকে মুছে গিয়েছিল। আজকের ইসরায়েলও সেই পথেই হাঁটছে।”

তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশে এখনও অনেক ইসরায়েলি পণ্য ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের সচেতন হতে হবে। যারা এসব পণ্য বাজারজাত করছে, তাদের প্রতিও আমাদের বার্তা স্পষ্ট—ইসরায়েলি পণ্যের বর্জনই এখন মানবিক দায়িত্ব। পাশাপাশি আমরা সরকারকে আহ্বান জানাই—পাসপোর্ট থেকে ইসরাইল ভ্রমণের অনুমতি বাতিল, সকল কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিতে হবে।”

আরও পড়ুনঃ “আমার হৃদয় গাজার সঙ্গে”—যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়ের অফার প্রত্যাখ্যান ইবি শিক্ষার্থী জাকিরের

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ইবি সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, “ইসরায়েলের একার পক্ষে এ হামলা সম্ভব নয়। তাদের পেছনে রয়েছে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, ব্রিটেন এবং ভারত। শুধু ইসরায়েল নয়, এই আগ্রাসনের পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধেও আমাদের অবস্থান নিতে হবে। অন্যথায় আজ গাজার অবস্থা, কাল হতে পারে আমাদের।”

বক্তারা বলেন, এই কর্মসূচি শুধু প্রতিবাদ নয়, এটি বিশ্ব মুসলিমের ঐক্যের ডাক এবং মানবতার পক্ষে এক উচ্চকণ্ঠ চিৎকার। তারা আশা করেন, সারা দেশে এমন শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ছড়িয়ে পড়বে এবং এটি বিশ্ব বিবেককে নাড়া দেবে।