spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টা, চন্দনাইশে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ জোয়ারা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়...
প্রচ্ছদরাজনীতিবাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতি হবে নাঃ আমীর খসরু

বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠের রাজনীতি হবে নাঃ আমীর খসরু

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃবাংলাদেশে কোনো সংখ্যাগরিষ্ঠের ভিত্তিতে রাজনীতি চলবে না, দেশ চলবে সকল নাগরিকের অংশগ্রহণে—এমন মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

রবিবার (১১ মে) সকালে চট্টগ্রাম নগরীর ডিসি হিল এলাকায় বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে সম্মিলিত বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত শান্তি শোভাযাত্রা পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, “বাংলাদেশে কারো ধর্ম বা সংখ্যা দিয়ে রাজনীতি হবে না। রাষ্ট্র সবার, ধর্ম যার যার। আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়বো, এখানে বিভক্তির কোনো স্থান নেই।” তিনি বলেন, “জাতীয়তাবাদী চিন্তাচেতনার মূল ভিত্তিই হচ্ছে সবাইকে নিয়ে চলা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে ‘বাংলাদেশি’ পরিচয়ে পরিচিত করতে চেয়েছেন। এই দেশ সবার, সবাই মিলে গড়তে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু ভিন্নমতকে সম্মান জানিয়ে সহনশীলতার সঙ্গে সবাইকে চলতে হবে। আমরা এখন এমন একটা সময়ে আছি যেখানে মানুষ আর অশান্তি চায় না, মানুষ চায় একটি স্থিতিশীল, শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ।”

শান্তি শোভাযাত্রায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন বৌদ্ধ সংগঠনের ৬১টি সংগঠন অংশ নেয়। বৌদ্ধ মন্দির থেকে শুরু হয়ে এটি নগরীর এনায়েত বাজার, জুবলি রোড, নিউমার্কেট, কোতোয়ালি মোড়, লালদিঘী, আন্দরকিল্লা ও চেরাগি মোড় হয়ে পুনরায় বৌদ্ধ মন্দিরে গিয়ে শেষ হয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উদযাপন পরিষদের সভাপতি ও সাবেক জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার রিটন কুমার বড়ুয়া। শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মেয়র বলেন, “চট্টগ্রামকে ক্লিন, গ্রীন, হেলদি এবং শান্তির শহর হিসেবে গড়তে চাই। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান—সবাই এ শহরে সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ। কেউ ধর্মীয় কারণে বৈষম্যের শিকার হবেন না।”

শোভাযাত্রায় আরও বক্তব্য দেন সিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন, আর. কে. কে. বাংলাদেশের ব্রাঞ্চ মিনিস্টার মি. মরি মাসানোবু, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, বিএনপি চেয়ারপারসনের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

আরও পড়ুনঃ চাহিদার সঙ্গে শিক্ষার্থী গড়ে তুলতে কারিকুলাম পরিবর্তনের ওপর গুরুত্বারোপ: ইবি উপাচার্য

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন লায়ন রনি কুমার বড়ুয়া ও রোটারিয়ান সপু বড়ুয়া। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির চেয়ারম্যান অজিত রঞ্জন বড়ুয়া, কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রুবেল বড়ুয়া, অধ্যাপিকা লায়ন ববি বড়ুয়া, বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সহসভাপতি মৃদুল বড়ুয়া চৌধুরী, বিএলআই বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক মৃণাল কান্তি বড়ুয়া, বুড্ডিস্ট ফেডারেশনের সদস্য অশোক কুমার বড়ুয়া, প্রফেসর তুষার কান্তি বড়ুয়া, ড. সৌমেন বড়ুয়া, প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, নারী নেত্রী অধ্যাপিকা শুক্লা বড়ুয়া টিমন, ঝুম্পা বড়ুয়া, নীলিমা বড়ুয়াসহ আরও অনেকে।

প্রতিটি বক্তার কণ্ঠে ছিলো শান্তি, সম্প্রীতি ও সহাবস্থানের আহ্বান। শোভাযাত্রা নগরবাসীর কাছে একটি ইতিবাচক বার্তা পৌঁছে দেয়—বাংলাদেশ সবার, ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।