
তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রদল অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ইবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজ, আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম, সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ উদ্দিন ও নুর উদ্দিন। এছাড়াও কর্মসূচিতে অংশ নেন তৌহিদুল ইসলাম, রুকনুজ্জামান, আসাদ তৌফিক, আলামিন, রিফাতসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রোকন উদ্দিন। তিনি বলেন, “আমাদের এক ভাই হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। আমরা বিচারের জন্য রাজপথে নেমেছি। কেউ কেউ বলে আমরা লাশের রাজনীতি করি—তাদের জিজ্ঞেস করি, আমরা কি বিচার চাইতে পারি না? ছাত্রদল সবসময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে রাজপথে থাকে। কিন্তু আমাদের সাথেই সব সময় বৈষম্য করা হয়। এই বৈষম্য করে ছাত্রদলকে নিশ্চিহ্ন করা যাবে না।” তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “সাম্য হত্যার বিচার যদি না করা হয়, তাহলে এই আন্দোলন সরকারের পতনের আন্দোলনে রূপ নিতে পারে।”
আরও পড়ুনঃ ইবি ভিসির উপর নজরদারিতে সিসি ক্যামেরা স্থাপন প্রোভিসির
প্রধান আহ্বায়ক শাহেদ আহম্মেদ বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের এই দেশে কোনো সন্ত্রাসী বা হত্যাকারীর ঠাঁই নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে একজন ছাত্রের হত্যাকাণ্ড গোটা জাতির জন্য অশনিসংকেত। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রদলের হাজারো নেতাকর্মী রাজপথে ছিল, শহীদও হয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পরেও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একের পর এক খুনের শিকার হচ্ছে, অথচ সরকার এখনো কোনো দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে না।”
তিনি আরও বলেন, “প্রশাসনের এই নিরবতা কেন? সাম্য হত্যাকাণ্ডে দ্রুত বিচার এবং হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।”
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকাণ্ডের পর দেশের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদে সরব হয়েছে ছাত্রদলের বিভিন্ন শাখা। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত এই কর্মসূচিও সেই ধারাবাহিক অংশ।