spot_img

― Advertisement ―

spot_img

ইবিতে ফের নেকাব নিয়ে কটাক্ষের অভিযোগ ইবি শিক্ষকের বিরূদ্ধে

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ভাইভাতে নেকাব নিয়ে কটাক্ষসহ বিভিন্নভাবে হেনস্তার অভিযোগ করেছেন বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ার বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের এক ছাত্রী। অভিযুক্ত বিভাগের সহযোগী...
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনক্যাম্পাসযৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আজিজুলের শাস্তি চায় ইবি শিক্ষার্থীরা 

যৌন হয়রানির দায়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আজিজুলের শাস্তি চায় ইবি শিক্ষার্থীরা 

তানিম তানভীর, ইবি প্রতিনিধিঃ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানি ও হেনস্তার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে শিক্ষার্থীরা উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন এবং বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত ও আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

অভিযোগপত্রে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেন, অভিযুক্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে পেশাগত দায়িত্ব ও নৈতিকতার সীমা লঙ্ঘন করে শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের প্রতি ধারাবাহিকভাবে অনাকাঙ্ক্ষিত, অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ করে আসছেন। কেউ তার প্রলোভনে সাড়া না দিলে তিনি হুমকি দিয়ে মানসিকভাবে হেনস্তা করতেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ক্লাসে মেয়েদের দাঁড় করিয়ে তাদের পোশাক, শরীর এবং চেহারা নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতেন। কখনও ক্লাসে যৌনতা সম্পর্কিত বিব্রতকর প্রশ্ন করতেন, আবার কখনও ব্যক্তিগত চেম্বারে ডেকে ছুটির দিনে ক্যাম্পাসের বাইরে দেখা করার কুপ্রস্তাব দিতেন। ছাত্রীদের সঙ্গে মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ ও ইমোতে ভিডিও কলে আসার জন্য জোর করতেন, প্রেমের প্রস্তাব দিতেন, প্রেমমূলক বার্তা পাঠাতেন। এসব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে রেজাল্ট খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখানো হতো।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগে জানান, অর্থ এবং ভালো রেজাল্টের প্রলোভন দেখিয়ে ব্যক্তিগত সম্পর্ক বজায় রাখার চাপ দেওয়া হতো। এমনকি মিথ্যা মিটিংয়ের কথা বলে চেম্বারে ডেকে নিয়ে অশোভন আচরণ করতেন বলেও অভিযোগ ওঠে।

আরও পড়ুনঃ নালিতাবাড়ীতে কৃষি প্রণোদনায় বিনামূল্যে তালের চারা ও বেড়া বিতরণ

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, “শিক্ষার্থীদের অভিযোগ আমরা গুরুত্বের সঙ্গে আমলে নিয়েছি। যথাযথ পদ্ধতিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে এবং তদন্তের ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে ঘটনাটি নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। শিক্ষার্থীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের দ্রুত অপসারণ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে বলেন, প্রশাসন যেন নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে ক্যাম্পাসকে নিরাপদ রাখে।