spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদশিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন১৬ বছরের সর্বনিম্ন পাসের হার, তবুও দেশসেরা রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড

১৬ বছরের সর্বনিম্ন পাসের হার, তবুও দেশসেরা রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড

মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ এসএসসি পরীক্ষায় চলতি বছর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে রেকর্ড পরিমাণ পাসের হার কমে গেছে। বিগত ১৬ বছরের পরিসংখ্যানের মধ্যে এটিই সর্বনিম্ন। তবে এই বিপর্যয়ের মধ্যেও সারাদেশের মধ্যে পাসের হারে সেরা হয়েছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড।

বোর্ড সূত্র জানায়, এবার পাসের হার ৭৭ দশমিক ৬৩ শতাংশ। এর আগে ২০০৯ সালে সর্বনিম্ন ৫৮ দশমিক ১৩ শতাংশ পাসের হার ছিল। সেই তুলনায় চলতি বছরের ফলাফল বেশ নীচে নেমেছে। অথচ ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বোর্ডে পাসের হার ছিল যথাক্রমে ৯৬ দশমিক ৩৩ এবং ৯৫ দশমিক ০২ শতাংশ।

২০০৯ সালের পর থেকে ধারাবাহিকভাবে রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার বাড়তে থাকে। তবে ২০২২ সালে ৮৫.৮৭ শতাংশ, ২০২৩ সালে ৮৭.৮৮ শতাংশ এবং ২০২৪ সালে ৮৯.২৫ শতাংশ থেকে এবার তা কমে ৭৭.৬৩ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

তবে বোর্ড কর্তৃপক্ষ এই ফলাফলকে ‘বিপর্যয়’ বলতে নারাজ। রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আ.ন.ম মোফাখাখারুল ইসলাম বলেন, “ফলাফল বিপর্যয় হয়েছে, এমনটা বলা যাবে না। আমরা মানসম্পন্নভাবে খাতা মূল্যায়ন করেছি। যে যা পেয়েছে তাকেই তাই নম্বর দেওয়া হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “সামাজিকভাবে একটি ধারণা আছে—বোর্ড থেকে বেশি নম্বর দিতে বলা হয়। কিন্তু এবার আমরা এমন কোনও নির্দেশনা দিইনি। বরং আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকেও সঠিক মূল্যায়নের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।”

আরও পড়ুনঃ ইবির নীলফামারী জেলা ছাত্রকল্যাণের সভাপতি রাউফুল্লাহ, সম্পাদক মঞ্জুরুল

বোর্ড চেয়ারম্যান বলেন, “৭৭ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, এটিকে খারাপ ফলাফল বলা যাবে না। যদিও ১৬ বছরের মধ্যে পাসের হার সর্বনিম্ন, তারপরও সবচেয়ে বেশি জিপিএ-৫ এবং সর্বোচ্চ পাসের হার রাজশাহীতেই। তাই দেশসেরা হয়েছি। এটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের কৃতিত্ব। আমরা শুধু আনন্দ ভাগ করে নিয়েছি।”

অধ্যাপক মোফাখাখারুল ইসলাম আরও বলেন, “আমরা যে দেশসেরা হয়েছি, তার জন্য বোর্ড নয়, কৃতিত্ব শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। আমরা কেবল সেই অর্জনে খুশি হয়েছি।”

শিক্ষা বিশ্লেষকদের মতে, যদিও রাজশাহী বোর্ড পাসের হারে দেশসেরা হয়েছে, তারপরও সার্বিকভাবে ফলাফলের মান নিয়ে ভাবনার যথেষ্ট কারণ আছে। শিক্ষা ব্যবস্থার মান ধরে রাখতে হলে নম্বর প্রদানে স্বচ্ছতা বজায় রেখে শিক্ষার্থীদের মৌলিক জ্ঞান উন্নয়নে আরও জোর দিতে হবে।