spot_img

― Advertisement ―

spot_img

জাকসু নির্বাচন বর্জন, পুনঃনির্বাচনের দাবিতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। পাশাপাশি পুনরায় নির্বাচনের দাবিতে...
প্রচ্ছদজাতীয়‘হাসিনা পালায় না’ গেমে মুখর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, গানে-গেমে উদযাপিত হচ্ছে জুলাই...

‘হাসিনা পালায় না’ গেমে মুখর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, গানে-গেমে উদযাপিত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস

নিজস্ব প্রতিবেদক: গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র প্রতিরোধের মুখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিনটি স্মরণে এবার রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে অনুষ্ঠিত হচ্ছে ব্যতিক্রমধর্মী সাংস্কৃতিক আয়োজনের মধ্যে দিয়ে গানে-গেমে উদযাপিত হচ্ছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকাল থেকেই উৎসবমুখর পরিবেশে গান, নাটক, আলোচনা এবং সবচেয়ে আলোচিত ‘হাসিনা পালায় না’ গেমের মধ্য দিয়ে পালিত হচ্ছে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’।

দিনব্যাপী আয়োজনের অন্যতম আকর্ষণ ছিল প্রতীকী ভিডিও গেম ‘হাসিনা পালায় না’। গেমটিতে আগত দর্শনার্থীরা ভার্চুয়ালি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধাওয়া করার সুযোগ পাচ্ছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট যেভাবে তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছিলেন, তার প্রতীকী রূপায়ণ দেখা গেছে এই গেমে।

দর্শনার্থী মিজানুল ইসলাম বলেন, “হাসিনা সেদিন পালিয়ে গিয়েছিল। তখন তো সামনে এসে ধাওয়া দেওয়ার সুযোগ ছিল না। এখন গেমের মাধ্যমে হলেও একটা মজা তো পাচ্ছি।”

একইভাবে দর্শনার্থী সুমাইয়া শহীদ বলেন, “আগে সাহস করে হাসিনা বা তার বক্তব্য নিয়ে ঠাট্টাও করতে পারতাম না। এখন সবাই প্রকাশ্যে বিদ্রুপ করছে। এর চেয়ে বড় পতনের নিদর্শন আর কী হতে পারে!”

গেম জোনে বাজানো হচ্ছিল শেখ হাসিনার পূর্বের বক্তব্য। তা ঘিরে দর্শনার্থীদের মধ্যে হাস্যরস, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ ও নানা প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। রাজপথজুড়ে ছিল মানুষের ভিড়, উদ্দীপনা, স্লোগান আর ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত।

আরও পড়ুনঃ কালীগঞ্জে ঘরে ঘরে আতঙ্ক, প্রশাসনের নিরবতায় চরম মানবাধিকার সংকট

আয়োজকরা জানান, এবারের গণঅভ্যুত্থান দিবসের আয়োজন শুধু স্মৃতিচারণ নয়, বরং তৎকালীন শাসকের ফ্যাসিবাদী শাসনের বিরুদ্ধে জনতার বিজয়ের চিত্র তুলে ধরার একটি সাংস্কৃতিক প্রতিবাদ।

অনুষ্ঠানের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল দেশব্যাপী শিল্পীগোষ্ঠীদের পরিবেশনায় দেশাত্মবোধক ও জুলাই আন্দোলনভিত্তিক গান। এসব পরিবেশনার মধ্য দিয়ে আন্দোলনের শহীদদের স্মরণ এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে আন্দোলনের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার প্রয়াস নেওয়া হয়।

দুপুরের পর মূল মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র গঠনের নীতিমালা ও রূপরেখা তুলে ধরবেন।

সার্বিকভাবে দিনটি রূপ নিয়েছে একটি গণ-উৎসবে। গান, গেম, বক্তব্য, স্মৃতিচারণ, ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ—সব মিলিয়ে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ হয়ে উঠেছে এক মুক্তচিন্তার রাজপথ। যেখানে মানুষের মুখে শুধু একটি শব্দ—বিজয়।