
ভারতের মেঘালয় রাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস এলাকায় পাঁচ বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করেছে দেশটির নিরাপত্তাবাহিনী।
শনিবার ও রবিবার (৯ ও ১০ আগস্ট) যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন নিজেদের আওয়ামী লীগ কর্মী এবং একজন নিজেকে বাংলাদেশ পুলিশের সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
সোমবার (১১ আগস্ট) শিলং টাইমসসহ ভারতীয় একাধিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত শুক্রবার (৮ আগস্ট) মেঘালয়ের রংদাংগাই গ্রামে ২১ বছর বয়সী এক যুবকের ওপর হামলা, অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় এ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ), মেঘালয় পুলিশ এবং স্থানীয়দের সহায়তায় এসব অভিযানে অংশ নেয়।
দক্ষিণ-পশ্চিম খাসি হিলস জেলার পুলিশ সুপার বি. জিরওয়া জানান, শনিবার প্রথমে চারজনকে এবং রবিবার সকালে খোঞ্জয়ের গিলাগোড়া গ্রাম থেকে আরও একজনকে আটক করা হয়। আটকরা হলেন—জামালপুরের জাহাঙ্গীর আলম (২৫), নারায়ণগঞ্জের সায়েন হোসেন, কুমিল্লার মাহফুজ রহমান, জামালপুরের মারুফুর রহমান (যিনি নিজেকে পুলিশ সদস্য পরিচয় দিয়েছেন) এবং সুনামগঞ্জের মোবারক মিয়া।
আরও পড়ুনঃ দেশের ৪৮ দশমিক ৫ শতাংশ মানুষ সিদ্ধান্ত নেননি ভোট কাকে দেবেন, বিআইজিডি জরিপ
এ ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, আটক বাংলাদেশিদের হাত বাঁধা, কারও গায়ে জামা নেই, এবং তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতনের চিহ্ন রয়েছে। হিন্দি ভাষায় জিজ্ঞাসাবাদের সময় এক ব্যক্তি বলেছেন, তারা শেখ হাসিনার দল করতেন এবং অবৈধ সরকারের কারণে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছেন।
মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, অভিযানে বাংলাদেশের পুলিশ কনস্টেবলের আইডি কার্ড, হাতকড়া, ম্যাগাজিন কভার, পিস্তলের হোলস্টার, রেডিও সেট, মোবাইল ফোন, মুখোশ, কুঠার, তার কাটার যন্ত্র ও বাংলাদেশি মুদ্রা উদ্ধার করা হয়েছে।



