মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনি্চমাইঃ ট্টগ্রামে সাংবাদিকদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) ও চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
গত বুধবার সন্ধ্যায় গার্মেন্টস শ্রমিকদের আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ডবলমুরিং থানায় দৈনিক আজকের পত্রিকার সাংবাদিক আবদুল কাইয়ুম ও দৈনিক যায় যায় দিনের সাংবাদিক সাহিদুল ইসলাম মাসুমের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে পুলিশ। একই দিন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ২৪–এ প্রচারিত একটি সংবাদের প্রতিবাদে সিএমপি’র পক্ষ থেকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে কঠোর ভাষায় হুমকি প্রদানকেও অনভিপ্রেত ও উদ্বেগজনক বলে মনে করেন তারা।
এক বিবৃতিতে সিএমইউজে সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, নির্বাহী সদস্য মুস্তফা নঈম ও গোলাম মাওলা মুরাদ বলেন, এসব ঘটনা মুক্ত ও অবাধ গণমাধ্যমের পরিবেশকে বিঘ্নিত করছে। গণমাধ্যম, পুলিশ কিংবা অন্যান্য সংস্থা নির্দিষ্ট আইন ও নীতিমালার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তাই সবাইকে নিজেদের আইন ও নীতিমালা যথাযথভাবে প্রতিপালনের পাশাপাশি অপর সংস্থার আইন ও নীতিমালার প্রতিও যথাযথ শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। কেবল তাহলেই সবার জন্য নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
তারা আরও বলেন, সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উচিত সাংবাদিকদের জন্য নিরাপদ ও ভয়হীন পরিবেশ তৈরি করা। গত বুধবার সংগঠিত ঘটনার প্রেক্ষিতে সিএমইউজে নেতৃবৃন্দ সরকারের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করে প্রতিকার দাবি জানান। এর পরিপ্রেক্ষিতে সিএমপি কর্তৃপক্ষ কঠোর অবস্থান থেকে সরে আসার আশ্বাস দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলোচনার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুনঃ নানান আয়োজনে রাজশাহী কলেজে ইসলামের ইতিহাস বিভাগের দিনব্যাপী চড়ুইভাতি
তবে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, পতিত ফ্যাসিবাদের সহযোগীরা এই ঘটনাকে পুঁজি করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। সিএমপি’র বিবৃতির প্রতিবাদের আড়ালে ছাত্র-জনতার উপর চালানো গণহত্যার উস্কানীদাতা, হত্যা মামলার আসামি ও কথিত সাংবাদিক নামধারীদের নেতৃত্বে দলীয় স্লোগান দিয়ে সমাবেশ হয়েছে, যা সরকারবিরোধী অপতৎপরতার অংশ কিনা তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।
তারা বলেন, সাংবাদিকতার নাম-পরিচয়ের আড়ালে একটি চক্র পতিত সরকারের নির্দেশে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। এই সহযোগীদের আইনের আওতায় না আনার কারণে সিএমপি’র বিবৃতিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়ে নতুন করে ফ্যাসিবাদের পক্ষে বয়ান তৈরির দু:সাহস দেখানো হচ্ছে। অবিলম্বে এসব মামলার আসামি ও গণহত্যার উস্কানীদাতাদের আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানান তারা। একই সঙ্গে জুলাই বিপ্লবের পক্ষে ভূমিকা রাখা দেশপ্রেমিক সাংবাদিকদের এসব চক্রান্ত বিষয়ে সজাগ থাকার আহ্বান জানান সিএমইউজে ও প্রেসক্লাব নেতারা।