
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কুরাআনের অনুবাদ পাঠ প্রতিযোগিতা ২০২৪’র পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এই নিয়ে চতুর্থতবারের মতো এই আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের গ্যালারি কক্ষে শিক্ষার্থীদের একাংশের উদ্যোগে এ আয়োজন সম্পন্ন হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের আলোচনায় ড.ওয়ালীউর রহমান আল আযহারী বলেন, ‘আমরা দুইভাবে জ্ঞান অর্জন করি প্রথমত ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে আর দ্বিতীয়ত ওহীর মাধ্যমে সে ওহী হচ্ছে কুরআন।’ এছাড়া তিনি কুরআন-হাদীসের আলোকে মাদক, আমানত,সুদ, মুসলমানদের শক্তি অর্জনের প্রয়োজনীয়তা, জ্ঞানঅর্নের উৎস হিসাবে কুরআনের গুরুত্ব ইত্যাদি বিষয় আলোচনা করেন।
আরও পড়ুনঃ দেবহাটার ইছামতি নদীতে ভারতীয় নাগরিকের মরদেহ
আলোচনার শেষে তিনি বিজ্ঞানী, দার্শনিক ও বিভিন্নধর্মের পণ্ডিত কতৃক কুরানের শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণা রেফারেন্সসহ তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলোকিত জ্ঞানীর উপস্থাপক মুফতি সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, পৃথিবীতে নৈরাজ্য, বৈষম্য, দুর্নীতি বেড়ে গেছে। এর পেছনে অশিক্ষিত-খেটে খাওয়া মানুষের চেয়ে শিক্ষিত মানুষরাই বেশি দায়ী। যার কারণ হচ্ছে তারা দুনিয়াবী শিক্ষায় ঢের শিক্ষিত হলেও কোরানের শিক্ষা গ্রহণ করেনি। আমরা দুনিয়ার যাবতীয় শিক্ষায় শিক্ষিত হলেও যদি আমাদের কোরানের শিক্ষা না থাকে ‘আল্লাহর কসম’ সে জ্ঞান পরকালে বিন্দুমাত্র আমাদের কাজে আসবে না। তাই তিনি উপস্থিত সবাইকে কুরান অধ্যয়নের নির্দেশ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানের সার্বিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. আলমগীর কবির বলেন, প্রোগ্রাম বিষয়ে সব সময় আমার শুভকামনা ছিল এবং আমি বলেছিলাম সার্বিক বিষয়ে আমার সহযোগিতা থাকবে । আমরা এখানে সবাই শিক্ষিত মানুষ, আমাদের মনে রাখতে হবে কোরআন হাদীসের অপব্যাখ্যা যাতে কেউ না করে। কুরআনের সঠিক ব্যাখ্যা বুঝে আমাদের জীবন কে রঙ্গিন করতে হবে। এই আয়োজন অব্যাহত থাকুক।
অনুষ্ঠানে প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ৩০ জনকে পুরস্কৃত করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের হাফেজদের ‘হাফেজ সংবর্ধনা’ প্রধান করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাইকে গিফট কার্ড,বুক মার্ক এবং অনুবাদসহ কুরআন উপহার দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে ইমাম,শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ প্রায় ছয় শতাধিক ব্যাক্তি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২৮ রমজান এই প্রতিযোগিতার প্রথম ধাপ এবং ৩ মে প্রতিযোগিতার ২য় ধাপ সম্পন্ন হয়। প্রতিযোগিতার সিলেবাস হিসেবে ছিল কুরআনের ৩০তম পারার এবং সুরা আল-ফাতিহা, সুরা আন-নূর ও সুরা হুজুরাত।