
ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে (সর্বোচ্চ ৫% কোটা ) এনে সংসদে আইন পাস করার দাবিতে বঙ্গভবনে স্মারকলিপি দিয়েছেন কোটা সংস্কার আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ক ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল।
আজ ১৪ জুলাই (রবিবার) বেলা তিনটার পরে প্রতিনিধি দল মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বরাবর স্মারকলিপি দেন। রাষ্ট্রপতির পক্ষে সামরিক সচিব স্মারকলিপিটি গ্রহণ করেন। পরে প্রতিনিধিদলটি গুলিস্তানে ফিরে যান।
বঙ্গভবনে শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদলে রয়েছেন, নাহিদ ইসলাম, আ: কাদের, আসিফ মাহমুদ, মো. মাহিন সরকার, হাসিব আল ইসলাম, সারজিস, মেহেরুন নেসা, সুমাইয়া, আসিফ, রিফাত, আরিফ হোসেন ও হান্নান মাসুদ।
অপরদিকে ঢাকাস্থ সকল প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে ঢাবি,জবি,ঢাকা কলেজ এবং ইডেন কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজধানীর গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনের সড়কে অবস্থান করছেন। সেখানে বিপুল সংখ্যক পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান করছেন।
আজ দুপুর ১০ টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা রায়সাহেব বাজার,তাঁতিবাজার, জিরোপয়েন্ট, শেখ হাসিনা বার্ন হাসপাতাল, জাতীয় শহিদ মিনার এবং টিএসসি হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে একত্রিত হয়।
আনুমানিক দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারের সামনে থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ব্যানারে ঢাকাস্থ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী পদযাত্রা শুরু করে।
পদযাত্রায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষা অধিকার চত্বর, গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের সামনে পুলিশের ব্যারিকেডের সম্মুখীনহয় ।শিক্ষা অধিকার চত্বরের পুলিশি ব্যারিকেড খুব সহজে ভাঙতে পারলেও জিরো পয়েন্টের ব্যারিকেড ভাঙতে বেশ বেগ পেতে হয়।
জিরো পয়েন্টে আন্দোলনের সমন্বয়করা রাস্তায় বসে পড়তে এবং জিরো পয়েন্টের ব্যারিকেড ভাঙতে নিষেধ করলেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্লোগানে স্লোগানে অগ্রসর হয়ে ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের পথে পদযাত্রা চালু রাখে।
গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গভবনের সামনে গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের মোড়ে ফের পুলিশের বাধার সম্মুখীন হন শিক্ষার্থী। এ সময় পুলিশ আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে কথা বলেন।
আরও পড়ুনঃ জাবিতে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশে শিক্ষকদের সংহতি
এসময় কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করছি, এটা রাষ্ট্রপতির ভবন তথা সংরক্ষিত এলাকা। সকল শিক্ষার্থীরা এখানে অবস্থান নিবেন, শুধু সমন্বয়করা বঙ্গভবনে যাবেন।
তিনি আরো বলেন, ‘বঙ্গভবনের নিরাপত্তার ইস্যু রয়েছে। অতি উৎসাহী হওয়া যাবে না। আজকে পর্যন্ত আমাদের আন্দোলনে কোনো অনিয়ম ছিল না। কেউ লিমিট ক্রস করবেন না।
স্মারকলিপি প্রদান শেষে সমন্বয়ক দল শপিং কমপ্লেক্সের সামনে এসে ফ্রেস ব্রিফিং করেন। ফ্রেস ব্রিফিং এ ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। যদি সঠিক সমাধান না আছে ছাত্র সমাজ আবার মাঠে নামবে।