মোঃ রমজান হোসেন, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ শিক্ষার্থীদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এবং দেশের কয়েকটি জেলায় চলমান বন্যা পরিস্থিতিতির প্রভাব পড়েছে নওগাঁর পাইকারি চালের বাজারে, বেড়েছে চালের দাম। আগের তুলনায় কমেছে মোকামগুলোতে সরবরাহের পরিমাণ। এর কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, আন্দোলনের সময় কারফিউ এবং দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণেই সরবরাহ কমেছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) নওগাঁ শহরের পাইকারি চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, সপ্তাহের ব্যবধানে হাসকিং মিলের চালে কেজিতে ২-৩ টাকা কমলেও এখন আবার আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।
প্রতিকেজি কাটারিভাগ (নাজির) ৬৮-৭০ টাকা, শম্পা কাটারি ৬৩-৬৪ টাকা, মিনিকেট (জিরা) ৬৩-৬৪ টাকা, স্বর্ণা-৫ ৫২-৫৩ টাকা, ব্রি২৮ ৫৮-৫৯ টাকা, ব্রি২৯ ৫৬ -৫৭ টাকা এবং শুভলতা ৬০-৬১ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে মেসার্স সততা রাইস এজেন্সির স্বত্বাধিকারী সুকুমার ব্রাহ্ম বলেন, ‘গত সপ্তাহে চালের দাম কিছুটা কম ছিল। বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষজন ত্রাণ হিসেবে স্বর্ণা-৫, ব্রি২৯-সহ কম দামের চাল ব্যবহার করছেন। এজন্য বাজারে এসব চালের চাহিদা বেড়েছে। যে কারণে দাম আবার আগের পর্যায়ে চলে এসেছে।’
আরও পড়ুনঃ জামালপুরের ইসলামপুরে জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সমাবেশ
নওগাঁ জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার বলেন, বাজারে এখন পর্যন্ত রাজনৈতিক কোনো প্রভাব পড়েনি। কোনো মিল বা চালকল বন্ধের ঘটনাও ঘটেনি।তিনি বলেন, ১০-১১টি জেলায় বন্যার কারণে সেখানে জরুরি ত্রাণ ছাড়া অন্য কোনো পণ্য যাচ্ছে না। যে কারণে বর্তমানে সরবরাহ অনেকটাই কম। এজন্য দাম বেড়েছে। সামনে দাম আরও বাড়তে পারে।