spot_img

― Advertisement ―

spot_img

উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন বেরোবি শিক্ষার্থীরা

বেরোবি প্রতিনিধি: ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবিতে আমরণ অনশন করা শিক্ষার্থীরা অবশেষে উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভেঙেছেন।বুধবার (১৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে রংপুরের বেগম...
প্রচ্ছদকলামভিন্নমতদারুল ইহসান ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মারুফ হোসেন মুকুলকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কিছু কথা

দারুল ইহসান ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মারুফ হোসেন মুকুলকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে কিছু কথা

ঢাকার সাভারে দারুল ইহসান ট্রাস্টের ম্যানেজিং ট্রাস্টি মারুফ হোসেন মুকুলকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় নানা জল্পনা-কল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তাঁকে বিনা ওয়ারেন্টে এবং পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে আটক করা হয়েছে।

১৯৮৬ সালে প্রতিষ্ঠিত দারুল ইহসান ট্রাস্ট ও এর অধীনে পরিচালিত দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশে শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. সৈয়দ আলী আশরাফ নিজ সম্পত্তি দান করে এই প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন।

ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মারুফ হোসেন মুকুল ২২ জানুয়ারি সাভার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কার্যালয়ে জমি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানিতে অংশ নিতে যান। অভিযোগ রয়েছে, শুনানি শেষে সাদা পোশাকে থাকা ডিবি পুলিশ তাঁকে বিনা ওয়ারেন্টে আটক করে। পরে তাঁকে উত্তরা থানার একটি মামলায় অভিযুক্ত দেখানো হয়।

উক্ত মামলার বাদী বাদল খলিফা আদালতে এফিডেভিটের মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি মারুফ হোসেন মুকুলকে কোনো অপরাধে লিপ্ত হতে দেখেননি। অভিযোগ রয়েছে, তাঁকে পূর্বের আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী নানকের ইঙ্গিতে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এ মামলায় জড়ানো হয়েছে।

২০২০ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী নানক দারুল ইহসান ট্রাস্টের ধানমন্ডি প্রধান কার্যালয়ের একাংশ জোরপূর্বক দখল করে সেখানে তাঁর মেয়ের অফিস স্থাপন করেন। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর ট্রাস্টের প্রধান কার্যালয় ভবনটি দখলমুক্ত হয়।

অন্যদিকে, ট্রাস্টের আরেক পক্ষ ফয়জুল কবীর ও তাঁর সহযোগী ওসমান গনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁরা মিথ্যা পরিচয়ে ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হিসেবে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন এবং মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছেন।

আরও পড়ুনঃ ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও জোরদারে আগ্রহী ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট

২০১৬ সালে উচ্চ আদালত দারুল ইহসান ট্রাস্টের ধানমন্ডি গ্রুপ ও সাভার গ্রুপকে বৈধ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে আদালত একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়।

উক্ত ঘটনায় দারুল ইহসান ট্রাস্টের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে তাঁরা ফয়জুল কবীর ও ওসমান গনীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলগুলো এখন দারুল ইহসান ট্রাস্টের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন।

লেখকঃ
সহঃ এষ্টেট অফিসার
মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ
দারুল ইহসান ট্রাস্ট