
সাদ্দাম উদ্দিন রাজ, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার প্রধান আঞ্চলিক সড়কটি বর্তমানে ধুলাবালির দূষণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিন্দু রায়পুরা পৌর এলাকায় পিটিআই মোড় থেকে পান্তশালা ফেরিঘাট পর্যন্ত সড়কে যানবাহনের অবিরাম চলাচলের কারণে ধুলাবালির ছড়াছড়ি। এতে শিক্ষার্থী, পথচারী এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, শুষ্ক আবহাওয়ায় যানবাহনের চলাচলের সঙ্গে ধুলার কুয়াশা তৈরি হচ্ছে। বিশেষত, সড়কের পাশের প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট, মাদ্রাসা, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, নরসিংদী সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, কেন্দ্রীয় কবরস্থান এবং খাদ্য গুদাম এলাকাগুলোতে ধুলাবালির প্রকোপ বেশি। এই পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্যের ওপর চরম প্রভাব পড়ছে এবং বসবাসের পরিবেশও বিপন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, অবৈধ বালুর ব্যবসাই ধুলাবালির প্রধান কারণ। ক্ষমতাশালী ব্যক্তিরা মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন করে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করেন, যা সড়কের উপর বালুর স্তূপ তৈরি করে। এ বিষয়ে তারা কর্তৃপক্ষের দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।
চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলেছেন, ধুলাবালির মধ্যে বিভিন্ন রোগের জীবাণু থাকে, যা শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাশি, অ্যালার্জি, এবং ফুসফুসের বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করতে পারে। দীর্ঘ সময় ধুলাবালিতে থাকার ফলে ফুসফুসের রক্তপ্রবাহ দুর্বল হয়, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
আরও পড়ুনঃ বেতাগীতে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বই বিক্রির অভিযোগ, তদন্তে গড়িমসি
রায়পুরা থানার অফিসার ইনচার্জ আদিল মাহমুদ জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন তবে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ রানা বলেন, খোলা ট্রাকে বালু পরিবহন পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর এবং এটি দণ্ডবিধির আওতায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তিনি বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
সাধারণ মানুষ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কার্যকর হস্তক্ষেপের মাধ্যমে এ সমস্যার দ্রুত সমাধান কামনা করছেন। পরিবেশ দূষণ এবং জনস্বাস্থ্য রক্ষায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া এখন সময়ের দাবি।