spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টা, চন্দনাইশে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ জোয়ারা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়...
প্রচ্ছদসারা বাংলাচমেকের বার্ণ ইউনিট নির্মাণে পাহাড় কাটা, পরিবেশকর্মীদের প্রতিবাদে গাছ রোপণ

চমেকের বার্ণ ইউনিট নির্মাণে পাহাড় কাটা, পরিবেশকর্মীদের প্রতিবাদে গাছ রোপণ

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ণ ইউনিট স্থাপনের নামে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠেছে চট্টগ্রামের পরিবেশকর্মী ও সচেতন নাগরিকরা। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে পাহাড় কেটে ফেলার প্রতিবাদে মঙ্গলবার (২২ জানুয়ারি) পরিবেশকর্মীরা সমাবেশ এবং গাছ রোপণ কর্মসূচি পালন করেছেন।

পরিবেশকর্মীদের অভিযোগ, চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ঘোষণা দিয়েছিল যে, পাহাড় না কেটেই বার্ণ ইউনিট স্থাপন করা হবে। কিন্তু তাদের এই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে রাতের আঁধারে স্কেভেটর দিয়ে পাহাড়ের অর্ধেক কেটে ফেলা হয়েছে। এতে শতবর্ষী বেশ কয়েকটি গাছও কেটে ফেলা হয়েছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা এবং প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র ছাড়াই পাহাড় কাটার এই কাজ সম্পন্ন করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে মঙ্গলবার সকাল থেকে চট্টগ্রামের পরিবেশকর্মী এবং বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন। তারা পাহাড়ে প্রায় আড়াই শতাধিক গাছ রোপণ করে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান।

গাছ রোপণ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, “আমরা উন্নয়নের বিরোধী নই। কিন্তু উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস মেনে নেওয়া যায় না। বার্ণ ইউনিট গুরুত্বপূর্ণ হলেও, পাহাড় কেটে তা করা যাবে না। এটি লাখো মানুষের জীবন ও প্রাকৃতিক ভারসাম্যের জন্য হুমকিস্বরূপ।”

আরও পড়ুনঃ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন দাবিতে কুড়িগ্রামে সমাবেশ

পরিবেশবিদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মাহফুজুর রহমান, উদ্ভিদ বিজ্ঞানী ড. এমএ গফুর, পরিবেশকর্মী ঋতু পারভীন, মো. শফিকুল ইসলাম খান, এবং বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

তাদের দাবি, পাহাড় কাটার নির্দেশদাতা এবং সংশ্লিষ্টদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা। উন্নয়নের নামে পরিবেশ ধ্বংস বন্ধ করা। চট্টগ্রামে বার্ণ ইউনিট নির্মাণ প্রকল্পের বিকল্প পরিকল্পনা গ্রহণ।

পরিবেশকর্মীরা কঠোরভাবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি পুনরায় পাহাড় কাটা হয়, তবে তারা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেবেন। চট্টগ্রামের পরিবেশ রক্ষায় তারা সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেন।