spot_img

― Advertisement ―

spot_img

নরসিংদীতে বিদেশি পিস্তল ও গুলিসহ তিন যুবক গ্রেপ্তার

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর সদর উপজেলার শীলমান্দি ইউনিয়নের দক্ষিণ শীলমান্দি এলাকায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল ও পাঁচ রাউন্ড গুলিসহ তিন যুবককে...
প্রচ্ছদসারা বাংলানরসিংদীতে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি লাশের হত্যার কারণ উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২

নরসিংদীতে উদ্ধার হওয়া বস্তাবন্দি লাশের হত্যার কারণ উদঘাটন, গ্রেপ্তার ২

সাদ্দাম উদ্দিন রাজ, নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার শুকুন্দী ইউনিয়নের সম্মানিয়া ব্রিজের কাছে পাওয়া বস্তাবন্দি লাশের পরিচয় এবং হত্যার কারণ জানা গেছে। পুলিশি তদন্তের মাধ্যমে দুইজনকে গ্রেপ্তার করার পর হত্যার রহস্য উদঘাটন করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পাঁকান্দি গ্রামের সিদ্দিকুর রহমানের স্ত্রী শান্তা বেগম (৩৭) এবং একই গ্রামের তাহের আলীর ছেলে মো. মোস্তফা (৩৮)।

জানা যায়, নিহত ব্যক্তি শাহিন আলম (২৯), ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি শিবপুরে ফুচকা-চটপটির ব্যবসা করতেন। এই সূত্রে শান্তা বেগমের সঙ্গে তার পরিচয় এবং পরে তাদের মধ্যে পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

গ্রেপ্তারকৃতদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিকল্পনায় শান্তা বেগম ২০ জানুয়ারি রাতে শাহিনকে তার বাড়িতে ডেকে আনেন। এরপর মোস্তফার সহযোগিতায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে লাশ বস্তায় ভরে প্রাইভেটকারে করে সম্মানিয়া ব্রিজের নিচে ফেলে রাখা হয়।

পুলিশের উদ্ধারকৃত আলামত: হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দুটি গামছা, প্লাস্টিকের বস্তা, মুখের মাস্ক, মাথার টুপি, স্যান্ডেলের একজোড়া এবং একটি প্রাইভেটকার।

২১ জানুয়ারি সকালে সম্মানিয়া ব্রিজের নিচে লাশটি উদ্ধার করা হয়। প্রথমে লাশের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব না হলেও পিবিআইয়ের সহযোগিতায় ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হয়। এরপর সহকারী পুলিশ সুপার (শিবপুর সার্কেল) এবং মনোহরদী থানার পুলিশের যৌথ অভিযানে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুনঃ জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট হলে ফিরে আসবে ফ্যাসিস্টরা: জামায়াত আমির

উল্লেখ্য, শাহিনের লাশ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনতা অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে লাশটি শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়। কিন্তু পুলিশি তৎপরতায় হত্যার কারণ এবং অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের ফলে বিষয়টি স্পষ্ট হয়।

গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জনসচেতনতা বৃদ্ধিতে এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এ ধরনের তদন্ত কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।