spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টা, চন্দনাইশে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ জোয়ারা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়...
প্রচ্ছদসারা বাংলারাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে হাজারো সংস্কারে লাভ নেই : আমীর খসরু...

রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে হাজারো সংস্কারে লাভ নেই : আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “গণমাধ্যমের যারা কাজ করেন, তারা গত ১৬ বছর অনেক কষ্টের মধ্যেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। একটি মুক্ত বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করে আমরা গণতান্ত্রিক ঐক্যের পথে এগিয়ে চলেছি। আগামী দিনে যত দ্রুত সম্ভব জনগণের নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি আরও বলেন, “গণমাধ্যমকে প্রভাবিত করার চেষ্টা চলছে। তাই সাংবাদিকদের সতর্ক থাকতে হবে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারে গণমাধ্যমকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে হবে।”

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেলে নগরীর চট্টগ্রাম ক্লাবে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিএমইউজে) আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন, মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী এবং জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব ভূঁইয়া।

আমীর খসরু বলেন, “চট্টগ্রামের সাংবাদিকরা ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাস্তায় থেকে জনগণের সামনে সঠিক চিত্র তুলে ধরেছেন। গণতন্ত্রের সংগ্রাম সফল করতে, জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা ও নির্বাচিত সরকার গঠনের লক্ষ্যে সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের সঙ্গে নিয়ে আগামীর বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক অর্ডার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবো। শান্তিপূর্ণ ও সম্মানজনক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। রাজনৈতিক সংস্কৃতি পরিবর্তন না হলে অন্য কোনো সংস্কার করে লাভ হবে না। সহনশীলতা ও ভিন্নমতের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে। এটাই বিএনপির রাজনীতি, তারেক রহমানের রাজনীতি, এই নীতিতে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।”

দেশের জনগণ নির্বাচনের অপেক্ষায় রয়েছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, “গণতান্ত্রিক অর্ডার ফিরিয়ে আনাই জনগণের সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ। জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধি ও নির্বাচনই এর মূল ভিত্তি। অগণতান্ত্রিক পরিবেশে প্রতিটি দিন অতিবাহিত হচ্ছে। জনগণ একটি দায়িত্বশীল, জবাবদিহিতামূলক সরকারের জন্য অপেক্ষা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “যুব সমাজ গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। তারা ভোটাধিকার ফিরে পেতে অপেক্ষা করছে। জনগণ একটি নির্বাচিত সরকার ও দায়বদ্ধ প্রশাসনের প্রতীক্ষায় রয়েছে।”

নির্বাচনকে পিছিয়ে দিতে নানা ষড়যন্ত্র চলছে বলেও মন্তব্য করেন আমীর খসরু। তিনি বলেন, “যারা জনসমর্থনহীন, জনগণের ওপর আস্থা রাখতে পারছে না, তারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে।”

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, “দেশের জনগণ ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। গণতন্ত্র ও মৌলিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠায় জাতীয় নির্বাচনই একমাত্র পথ। রাষ্ট্রকাঠামো সংস্কারে তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলাল বলেন, “গণমাধ্যমের স্বাধীনতা না থাকলে সত্য প্রকাশ সম্ভব নয়। সত্য প্রকাশ না হলে বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়, যা জনগণের আস্থা নষ্ট করে।”

দৈনিক যুগান্তরের সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার বলেন, “সাংবাদিকদের বিবেকের মাধ্যমে পরিচালিত হতে হবে। অপসাংবাদিকতা ও হলুদ সাংবাদিকতা বর্জন করে সত্যনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করতে হবে।”

আরও পড়ুনঃ বেরোবিতে ইয়ুথ জার্নালিস্টস ফোরামের কর্মশালা ও ইফতার মাহফিল

বিএফইউজের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওবায়দুর রহমান শাহীন বলেন, “রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বার্থে অনেক গণমাধ্যম পক্ষপাতমূলক সংবাদ প্রকাশ করছে, যা স্বাধীন সাংবাদিকতার প্রতি আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে।”

বিএফইউজের মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, “স্বাধীন সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের মূল স্তম্ভ হলেও এটি এখন বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে। সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার পরিবেশ তৈরি করা জরুরি।”

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ হাসিব আজিজ, সিডিএ চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার নুরুল করিম, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ, সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফতি ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, দৈনিক কর্ণফুলী সম্পাদক আফসার উদ্দিন চৌধুরী, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর আ জ ম ওবায়দুল্লাহ, উত্তর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর আলাউদ্দিন সিকদার, সিএন্ডএফ এজেন্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়া, সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা, বিএনপি নেতা অধ্যাপক শেখ মহিউদ্দিন।

আরও ছিলেন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, কামরুল ইসলাম হোসাইনী, কামরুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, প্রয়াত বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের সন্তান সাঈদ আল নোমান, বিএফইউজে সহ-সভাপতি খাইরুল বশর, বিজিএমইএ প্রথম সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতির এডহক কমিটির আহ্বায়ক মকবুল কাদের চৌধুরী, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক, ড্যাবের কেন্দ্রীয় নেতা ডা. সরওয়ার আলম, ড্যাব চট্টগ্রাম জেলার সাধারণ সম্পাদক ডা. বেলায়েত হোসেন ঢালী, অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি প্রকৌশলী জানে আলম সেলিম, প্রকৌশলী মো. ওসমান, জিয়া পরিষদ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক রোটারিয়ান মোহাম্মদ জসিমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।