spot_img

― Advertisement ―

spot_img

আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের চেষ্টা, চন্দনাইশে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ জোয়ারা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধে আদালতের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের প্রস্তুতির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায়...
প্রচ্ছদসারা বাংলানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত

নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে: চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত

মোহাম্মদ ইসমাইল, চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, “নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে শুধু প্রশাসন নয়, নাগরিকদেরও সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে।”

রোববার (১৩ এপ্রিল) টাইগারপাসে চসিক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। সভায় এনজিও ও চট্টগ্রামের বিভিন্ন মার্কেট-বাজারের প্রতিনিধিদের সাথে জলাবদ্ধতা নিরসন নিয়ে আলোচনা হয়।

মেয়র বলেন, “আর মাত্র দুই মাস পর বর্ষা শুরু হবে। নগরীর যেসব এনজিও জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করছে, তারা যেন ওয়ার্ডভিত্তিক সমন্বিতভাবে কাজ করে। প্রয়োজনে চসিকের পরিচ্ছন্ন বিভাগ এনজিওগুলোর সঙ্গে একসঙ্গে মাঠে কাজ করবে।”

সভায় উপস্থিত এনজিও প্রতিনিধিরা জানান, নগরীর পরিচ্ছন্নতা ও জলাবদ্ধতা রোধে তারা পলিথিন ও প্লাস্টিক বিনিময়ে খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার কর্মসূচি চালু করেছেন। এছাড়া জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণের কাজও চলমান রয়েছে।

ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা অভিযোগ করেন, বাজার ও মার্কেট এলাকায় অবৈধ হকার ও দখলদারদের কারণে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন এবং সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। তাঁরা অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের পাশাপাশি বাজার এলাকায় পাবলিক টয়লেট নির্মাণের দাবি জানান। একই সঙ্গে খাল-নালা দখলমুক্ত করার দাবি তোলেন, যাতে বর্ষার পানি দ্রুত নিষ্কাশন সম্ভব হয়।

মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, “অবৈধ দখল, ফুটপাত দখল করে ব্যবসা এবং যত্রতত্র ময়লা ফেলার কারণে নগরীতে যানজট ও দুর্ঘটনার সংখ্যা বেড়ে গেছে। চসিক এ অবস্থার পরিবর্তনে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, নগরবাসীর সহযোগিতায় চট্টগ্রামকে একটি ‘ক্লিন সিটি’ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এজন্য ৪১টি ওয়ার্ডে চসিকের এক্সিকিউটিভ ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হবে।

আরও পড়ুনঃ চাকরির প্রলোভনে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূলহোতা গ্রেফতার

মেয়র স্পষ্ট করেন, যত্রতত্র ময়লা ফেলার দায়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানের সামনে আবর্জনার বিন রাখা বাধ্যতামূলক। হোটেল, রেস্তোরাঁ, কাঁচাবাজার, হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ও জরিমানার আওতায় আনা হবে যদি তারা নিয়ম না মানে। ফুটপাত, সড়ক ও নালাখাল অবৈধ দখল মুক্ত করতে নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। নির্মাণ সামগ্রী ও পাইলিংয়ের মাটি রাস্তায় বা নালায় ফেললে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, সচিব মো. আশরাফুল আমিন, প্রধান প্রকৌশলী আনিসুর রহমানসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও এনজিও প্রতিনিধিরা।