spot_img

― Advertisement ―

spot_img

রাজশাহীতে সেনাবাহিনীর বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা

মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে রাজশাহীতে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ৯টা থেকে...
প্রচ্ছদসারা বাংলাইজারাদারের অস্ত্রের হুমকিতে বন্ধ নৌকা চলাচল, উত্তপ্ত চর আষাড়িয়া দহ

ইজারাদারের অস্ত্রের হুমকিতে বন্ধ নৌকা চলাচল, উত্তপ্ত চর আষাড়িয়া দহ

মোঃ আব্দুল আলিম, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার চর আষাড়িয়া দহ ইউনিয়নে নৌকা চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে ইজারাদারের অস্ত্রের হুমকিতে। শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে ঘাটের নৌচলাচল পুরোপুরি অচল হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরে চলা সন্ত্রাসী প্রভাবের চূড়ান্ত রূপে এই ঘটনায় প্রায় ৭০ হাজার মানুষ কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, ইজারাদাররা ঘাটকে নিজেদের ব্যক্তিগত সম্পত্তির মতো ব্যবহার করছেন। প্রতি বছর ইজারা নেওয়ার পর তারা ইচ্ছেমতো ভাড়া নির্ধারণ করেন, সরকারি কোনো নির্ধারিত চার্ট অনুসরণ করা হয় না। ঘাট ঘিরে গড়ে উঠেছে এক চাঁদাবাজ চক্র, যারা চাঁদা আদায়, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও মারধরকে নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছে। প্রতিবাদ করলে মাঝি ও যাত্রীদের ওপর হামলা এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে।

শনিবার সকালে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়। ইজারাদারের সশস্ত্র লোকজন এসে মাঝিদের নৌকা চালাতে নিষেধ করে এবং হুমকি দেয়, “নৌকা চালালে নদীতে ফেলে দেবো।” ফলে ভীত মাঝিরা নৌকা চলাচল বন্ধ করে দেন। চরম ক্ষুব্ধ চরবাসী মসজিদের মাইকিংয়ের মাধ্যমে জমায়েত হয়ে নদীপাড়ে জড়ো হন। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লেও তারা সহিংসতায় না গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান নেন।

চরবাসী জানান, নৌকা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় শিক্ষার্থীরা স্কুলে যেতে পারেনি, রোগীরা হাসপাতালে পৌঁছাতে পারেনি, কৃষকরা তাদের পণ্য বাজারে তুলতে পারেনি। পুরো জনপদে নেমে আসে মানবিক বিপর্যয়। বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নিশান বলেন, “জরুরি কাজে বিশ্ববিদ্যালয় যেতে এসে দেখি নৌকা বন্ধ। পার হতে গেলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।”

স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, জনপ্রতিনিধিরা ইজারাদারদের কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে নিরব থাকেন। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদে একাধিকবার অভিযোগ করেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ মেলেনি। ফলে ইজারাদারেরা হয়ে উঠেছে আরও বেপরোয়া।

আরও পড়ুনঃ ববিতে অনুষ্ঠিত হলো গুচ্ছ ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা

চরবাসী একরাম বলেন, “আমরা গরিব, টাকার জোর নেই, গলার জোর নেই। তাই আমাদের কথা কেউ শোনে না। তবে এবার আর সহ্য করবো না। প্রশাসন ব্যবস্থা না নিলে নিজেরাই প্রতিরোধ গড়বো।”

উল্লেখ্য, ইজারাদার হামিদুল ইসলাম (সুজন) দাবি করেছেন, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ মিথ্যা। তিনি বলেন, “স্থানীয় লাইনম্যানদের সাথে কিছু তর্কবিতর্ক হয়েছিল, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে।”

চর আষাড়িয়া দহের এই সংকট এখন একটি বড় ধরনের সামাজিক অস্থিরতার আশঙ্কা তৈরি করেছে। স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।