spot_img

― Advertisement ―

spot_img
প্রচ্ছদসারা বাংলাজুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতির দাবিতে রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতির দাবিতে রাজশাহীতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ

মোঃ সাকিবুল ইসলাম স্বাধীন, রাজশাহী প্রতিনিধিঃ জুলাই সনদ বাস্তবায়ন, গণভোটের মাধ্যমে জাতীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বভিত্তিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে রাজশাহীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।

শনিবার (২৫ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাজশাহী নগরীর গণকপাড়া মোড়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল আলুপট্টি মোড় হয়ে সাহেববাজার ও মালোপাড়া প্রদক্ষিণ করে শেষ হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমীর ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. মাওলানা কেরামত আলী। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন সরকার।

বক্তারা বলেন, “গণভোটের মাধ্যমে বিপ্লব-পরবর্তী জনগণের সিদ্ধান্ত নিয়ে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। জুলাই সনদের বাস্তবায়ন ও পিআর পদ্ধতি ছাড়া দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ফিরে আসবে না।”

তারা আরও বলেন, “একদলীয় শাসনব্যবস্থা বিলুপ্ত করে জনগণের অংশগ্রহণমূলক শাসন প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায় হলো পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। এ দেশে আমরা আর কোনো একদলীয় শাসন বা নতুন ফ্যাসিস্ট শাসক দেখতে চাই না।”

বক্তারা অভিযোগ করেন, দেশের কিছু রাজনৈতিক নেতা দাবি করেন যে তারা পিআর পদ্ধতি বোঝেন না, কিন্তু আসলে তারা বুঝতে চান না। যারা ফ্যাসিবাদ কায়েম রাখতে চায় ও ধর্মের অপব্যবহার করে রাজনীতি করে, তারাই এ পদ্ধতির বিরোধিতা করছে।

আরও পড়ুনঃ নালিতাবাড়ীতে বিএনপির আলোচনা সভা ও ৩১ দফা লিফলেট বিতরণ

সমাবেশে বক্তব্য দেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ও রাজশাহী–২ (সদর) আসনের জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, সহকারী সেক্রেটারি মো. শাহাদৎ হোসাইন, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক অধ্যাপক এ. কে. এম. সারওয়ার জাহান প্রিন্স, অফিস সম্পাদক তৌহিদুর রহমান সুইট, যুব বিভাগের সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ, তারবিয়াত সম্পাদক হাফেজ নুরুজ্জামান এবং সহকারী প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান আশু প্রমুখ।

জামায়াতে ইসলামীর ঘোষিত “জুলাই সনদ” হচ্ছে একটি রাজনৈতিক রূপকল্প, যেখানে জাতীয় ঐক্য, গণভোট, অংশগ্রহণমূলক শাসনব্যবস্থা এবং নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের দাবি তুলে ধরা হয়েছে। বক্তাদের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থা থেকে উত্তরণ ও প্রকৃত গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য এই সনদের বাস্তবায়ন এখন সময়ের দাবি।