মোঃ আসিফুজ্জামান আসিফ, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ ঢাকার আশুলিয়ায় চাঞ্চল্যকর নারী পোশাকশ্রমিক সাবিনা ইয়াসমিন (২৫)শ্বাসরোধে হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা আবু তালেবকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪। সোমবার (১৭ জুন) দুপুর ১টার দিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৪, সিপিসি-২ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান।
এর আগে, রাতে বগুড়ার শাহজাহানপুর থানাধীন ওমরদিঘী এলাকায় যৌথ অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আবু তালেব (২৭) বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার দামগাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি আশুলিয়া এলাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
লেফটেন্যান্ট কমান্ডার রাকিব মাহমুদ খান জানান, গত ১৫ জুন রাতে আশুলিয়ার গাজীরচট মুন্সিপাড়া এলাকায় সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক তরুণীর লাশ পাওয়া যায়। পরে র্যাব-৪ এর একটি গোয়েন্দা দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কার্যক্রম শুরু করে। ভিকটিম সাবিনা ইয়াসমিন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার দাওয়াকুড়া এলাকার বাসিন্দা এবং সে তার পরিবারের সাথে আশুলিয়ার গাজীরচট মুন্সিপাড়া এলাকায় বসবাস করে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন।
র্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তার আবু তালেবকে জিজ্ঞাসাবাদ ও ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে চাকরিরত অবস্থায় গত ২০১৩ সালে সাবিনা ইয়াসমিনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে এবং একপর্যায়ে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই তাদের মাঝে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। দ্বিতীয় বিয়ের কারণে তাদের মধ্যকার মনোমালিন্য তীব্র হয় এবং বিয়ে বিচ্ছেদ ঘটে।
পরে আবু তালেব পুনরায় আশুলিয়ার পলাশবাড়ী এলাকায় তৃতীয় আরেকটি বিয়ে করে সেখানে অবস্থান করলেও প্রায়ই সে সাবিনার ভাড়া বাসায় যাতায়াত করতেন এবং মাস শেষে তার (সাবিনার) কাছ থেকে জোরপূর্বক বেতনের টাকা নিয়ে আসতেন। বেতনের টাকা ও তৃতীয় বিয়ের বিষয় নিয়ে তাদের মাঝে পূনরায় মনোমালিন্যের সৃষ্টি হলে ২০২৪ সালের ১৩ জুন রাতে সাবিনার বাসায় যান এবং একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে সাবিনার ওড়না দিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন।
আরও পড়ুনঃ কুরবানীর গোস্ত কি ৩ ভাগ করা জরুরী?
পরে মরদেহ রুমের ভেতরে বিছানার চাদর দিয়ে ঢেকে দেন ও বাহির থেকে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান আবু তালেব। সে রাজধানী ঢাকাসহ বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেন। একপর্যায়ে র্যাব-৪ এবং র্যাব-১২ এর যৌথ অভিযানে রোববার রাতে বগুড়ার শাহজাহানপুর থানাধীন ওমরদিঘী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান তিনি।