
মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, রাজশাহী কলেজ প্রতিনিধিঃ “তোমরা হবে স্বপ্নে রাঙা সূর্যোদয়, লক্ষ আশার শপথ বুকে দীপ্তি ছড়াও বিশ্বময়”—এ অঙ্গীকারকে ধারণ করে রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৫০ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) সকাল ৯টায় রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোহা. শামীম উদ্দীনের সভাপতিত্বে নগরীর জেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগরের নায়েব আমীর ও চিকিৎসক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন মোটিভেশনাল স্পিকার, এ্যাডভোকেট বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট চেয়ারম্যান আল মামুন রাসেল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি ইমরান নাজির। এছাড়াও ছাত্রশিবির ও জামায়াতে ইসলামীর অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিবগাতুল্লাহ বলেন, “বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটিরও বেশি তরুণ মাদকে আসক্ত। মাদকের মাধ্যমে আমাদের তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। দেশের নতুন আশার আলো হলো তরুণরা, আর তাদের হাত ধরেই দেশের পরিবর্তন আসবে।”
আরও পড়ুনঃ রবিবার থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা বেরোবি শিক্ষার্থীদের
প্রধান আলোচক আল মামুন রাসেল বলেন, “গত বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। তাই তোমাদের মনে রাখতে হবে, শিক্ষার্থী হিসেবে জীবন কেবল শুরু হয়েছে। প্রথমে নিজেকে জানতে হবে, নিজের সামর্থ্য চিনতে হবে। প্রতিযোগিতা কেবল রাজশাহীর মধ্যে নয়, বরং দেশের সাথে এবং বিশ্বের সাথে করতে হবে।”
সভাপতির বক্তব্যে মোহা. শামীম উদ্দীন বলেন, “ছাত্রশিবির ভালো মানুষ তৈরি করতে চায়। দেশে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বাড়ছে কেন? প্রকৃত মানুষের অভাবেই। ইন্টারমিডিয়েট সময়টাই শিক্ষার্থীদের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়। এ সময় সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। এ সময় যেমন ভালো কিছু করার সুযোগ থাকে, তেমনি খারাপ পথে যাওয়ারও ঝুঁকি থাকে।”
এছাড়াওসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত কৃতি শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয় এবং উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।