ওমর ফারুক জিলন, জবি প্রতিনিধিঃ "জুলাই বিপ্লব" এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামফলক পুনঃস্থাপন নিয়ে কটুক্তি করায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হানিফ আহমেদ ও জবিস্থ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণের সাবেক সভাপতি আল আমিন এবং সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রাব্বানীর সাথে সংঘর্ষ হয় সাধারণ শিক্ষার্থীদের।
গতকাল ২০ অক্টোবর (রবিবার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সময় সন্ধ্যায় টিএসসিতে এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা সূত্রে জানা যায়, বিশ্বজিৎ হত্যার অন্যতম নেতৃত্বদানকারী ও জুলাই বিপ্লবের বিপরীতে অবস্থান নেওয়া বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হানিফ আহমেদকে নিয়ে জবিস্থ ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রকল্যাণের সাবেক সভাপতি আল আমিন এবং সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি রাব্বানী টিএসসির সিরাজের চায়ের দোকানে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে তারা "জুলাই বিপ্লব" এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামফলক পুনঃস্থাপন নিয়ে কটুক্তি করে। টিএসসিতে উপস্থিত সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করলে দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ছাত্রলীগ সাবেক সহ সভাপতি হানিফ আহমেদ, আল আমিন ,রাব্বানীসহ ছাত্রজনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ অনিক কুমার দাস, নাহিয়ান বিন হক অনিক, মাহবুব আলম, তানভীর ও রাফেল আহত হয়।
আরও পড়ুনঃ মোবাইল ফোন নিয়ে বিরোধের জের, ভাইয়ের হাতে ভাই খু’ন!
পরবর্তীতে টিএসসিতে উপস্থিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের নেতারা মধ্যস্থতা করে তাদেরকে টিএসসি থেকে বের করে দেয়। মারধরের শিকার ভুক্তভোগী আল-আমিন একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ভুক্তভোগী আল আমিনের সাথে একাধিক বার যোগাযোগর চেষ্টা করা হলেও তার কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
আহত আরেক শিক্ষার্থী নাহিয়ান বিন হক অনিক বলেন, বিশ্বজিৎ হত্যার মিশিলের নেতৃত্বদানকারী, জুলাই বিপ্লবের বিরোধী শক্তি ও জবি ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি হানিফ, আল আমিন, রাব্বানীসহ ছাত্রলীগ আরও কিছু নেতাকর্মী সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নামফলক পুনঃস্থাপনের ব্যাপারে কটুক্তি ও জুলাই বিপ্লবের বিরুদ্ধে কথা বলে সেই সময় সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধ করলে তারা আমাদের উপর হামলা করে আমাদের আহত করে। ওখানে ছাত্রলীগের হামলায় আমি, জুলাই বিপ্লবে গুলিবিদ্ধ অনিক কুমার দাস সহ অনেকেই আহত হয়। গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা এবং তার দোসরদের পুনর্বাসনের কোন সুযোগ নেই।